শারীরিক সম্পর্ক করতে না দেয়ায় আকবর আলী সানাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে তার স্ত্রী হালিমা নিজেই। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়। আটকের পর স্ত্রী রহিমা বেগম এ কথা জানিয়েছেন। স্ত্রী রহিমা বেগমকে কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে পিবিআই যশোরের একটি টিম। একই সাথে এ হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে তারা। পিবিআই জানায়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। গত ২১ ফ্রেব্রুয়ারি রাতে আকবর আলী সানা স্ত্রী সন্তানসহ ঘুমতে যায়। ভোর চারটার পর আকবর আলী সানা অভিযুক্ত স্ত্রী রহিমা বেগমের সাথে শারীরিক মেলামেশা করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রহিমা রাজি হয়না। এরপর সানা রহিমাকে মারপিট করে।
রহিমা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে আকবর আলী সানার সাথে ধস্তাধস্তি করে ও সানার মুখে আঘাত করে। ধস্তাধস্তির সময় ভিকটিম আকবর আলী সানা খাটের সাথে মাথায় আঘাত পায় । একপর্যায়ে রহিমা বেগম তার ওড়না সানার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । পরে কান্নাকাটি করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেন তিনি । এরপর পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলাও হয়। এক পর্যায় ময়না তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসে আত্মহত্যা নয় সানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় নিহতের ভাই আদম শফিউল্লাহ বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটির দায়িত্ব পায় পিবিআই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান তদন্তে হালিমার জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমান পান। বিশেষ অভিযান চালিয়ে কেবশপুর থেকে রহিমাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। শনিবার রহিমা আদাললতে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু জবানবন্দি গ্রহন শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাতদিন সংবাদ