Friday, December 5, 2025

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে যশোরের কাঁচাবাজারে

আচমকা জ্বালানি তেলে র মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে যশোরের কাঁচাবাজারে কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে বেড়ে গেছে। এতে করে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে ক্রেতারা। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। ফলে পন্য বেশী দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার যশোরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। যা ছিলো ২৫-৩০। যা ৩৫-৪০ টাকা। ১৫-২০ টাকা কেজির পটল ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। অর্থাৎ কয়েকদিনের ব্যবধানে বেড়েছে ১৫-২০ টাকা । ৩০-৩৫ টাকার শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে।

৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, ২০ টাকার ধুন্দল ৩০-৪০ টাকা, ২৫-৩০ টাকার কাঁকরোল ও কচুর মুখি আজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। ৫০ টাকার রববটি ৬০-৭০ টাকা। ৪০-৫০ টাকার উচ্চে-করলা এখন ৫০-৬০ টাকা, ৪০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বাজারে নতুন আসা শীতকালীন সবজি শিম ২শ’ থেকে ২শ’৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও  ৮০-৯০ টাকার টমেটো এখন বিক্রি হচ্ছে ১শ’ ১শ২০ টাকায়। প্রতিকেজি গাজরের দাম ৮০-৯০ টাকার গাজর এখন ১শ’২০-১শ’৫০ টাকা। ১শ’৮০ টাকার কাঁচা মরিচ এখন ২শ’ থেকে ২শ’২০ টাকা।

অপর দিকে, লাউ প্রতি পিছ ২০-৩০ টাকা ছিলো এখন ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১শ থেকে ১শ’২০ টাকায়। ২০-২৫ টাকার চাল কুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার ছিলো ২৫-৩০ টাকা যা এখন ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩০ টাকার কাঁচা কলা ৩০-৪০ টাকা ।

শাকের দামও ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। ২০-২৫ টাকা কেজির লাল শাক ৩০-৪০ ও ৩০ টাকার পালং শাক বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর ২৫ টাকার লাউ শাক বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়।

বাহাদুরপুরের কারাখানা শ্রমিক শরিফুল ইসলাম বলেন, সবকিছুর দাম বাড়ছে। মাছ মাংশ খাওয়ার উপায় নেই। সবজি খেয়ে থাকবো তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

চাকরিজীবি ক্রেতা লোন অফিস পাড়ার মনিরুল ইসলাম বলেন, সবজির দামে আগুন। কয়েকদিনের ব্যবধানে সব কিছুর দাম বেড়েছে । কিন্তু আমাদের বেতনতো বাড়েনি। ফলে সাতদিনের বাজার দিয়ে চালাতে হবে অন্তত ১০দিন। অনেকসময় দিনে তিনবারের স্থলে দুইবার খেতে হচ্ছে। দু:খ: প্রকাশ করে বলেন, নিজে না খেয়ে থাকলেও পরিবারকে তো আর না খাইয়ে রাখা যায়না। তাই ধারদেনা করে হলেও পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে দিচ্ছে।

বড় বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত সাহা বলেন, পরিবহন খরচের কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে। পণ্যের দাম বাড়ায় তাদের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মধ্যবিত্তরাই শুধু নয়, সীমিত আয়ের মানুষ ‘সংসার চালানো’ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। কেউ গচ্ছিত পুঁজি ভেঙ্গে খাচ্ছেন, কেউ ধারদেনা করে চলছেন। প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে অপারগতায় কেউ এখন খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন । যশোরের লাখ লাখ পরিবারের খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা এখন যেন দায় হয়ে পড়েছে ।

রিকি খান

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর