কেশবপুর(যশোর)প্রতিনিধিঃ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সদস্য হিসেবে জায়গা পেয়েছেন। তাদের একজন কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল। এছাড়া এবারো উপদেষ্টা হিসেবে স্থান পেয়েছেন কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন।
নেতারা বলেন, গতবার ছিলো চারজন অথচ এবার মাত্র দুইজন জায়গা পেয়েছেন। পদ পাওয়ার যোগ্যতা থাকলেও অনেকে বাদ পরেছেন বলে দাবি করেন তারা। এতে করে অনেকে হতাশ হয়েছেন। আবার কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, কেশবপুর আসন থেকে পর পর ছয় বার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে এএসএইচকে সাদেক পর পর দুই বার এমপি নির্বাচিত হন। তিনি সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মৃত্যুর পর এ আসন থেকে শেখ আব্দুল ওহাব এমপি নির্বাচিত হন। তিনিও জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর সহধর্মিণী ইসমাত আরা সাদেক পর পর দুইবার এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুর পর এ আসনের উপ-নির্বাচনে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি নির্বাচিত হন। তবে বারবার নৌকার বিজয় হলেও এবার জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে জায়গা দেয়া হয়নি যোগ্যদের। এর আগের কমিটিতে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম। সদস্য ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচএম আমির হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার হাসান আলমগীর। এরমধ্যে ইসমাত আরা সাদেক মারা গেছেন। অন্য সবাই জেলা কমিটির পদ হারিয়েছেন। এনিয়ে কেশবপুরের তৃনমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
জেলা কমিটির সাবেক সদস্য এইচ এম আমির হোসেন বলেন, ‘দলের সভাপতি যে কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন আমি সেই কমিটিকে স্বাগত জানাই।’
এবিষয়ে কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য ঘোষিত যশোর জেলা কমিটির উপদেষ্টা এস এম রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন আমি সভাপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কেশবপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চারজন ছয় বার এমপি মনোনীত হয়েছেন। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আজীবন বাস্তবায়ন করে যাবো। দলের সভাপতি যাচাই বাছাই করে দলকে গতিশীল করতে পারবে এমন ব্যক্তিকে জেলা কমিটিতে রেখেছেন ।
উল্লেখ্য, ৩০জুলাই আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষনা করা হয়। ২০ মাস পর ৩০ জুলাই ১৯ জন উপদেষ্টাসহ ৯৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।







