যশোর শহরের বকুলতলা গরীব শাহ মাজারের পেছনে গণপিটুনিতে শাহিনুল ইসলাম শাহীন (৪৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই পুরাতন কসবা ঘোষপাড়ার বাসিন্দা মইন উদ্দিন বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪–৫ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। নিহত শাহীন স্থানীয় মুজিবর রহমানের ছেলে।
এজাহারে বলা হয়, শাহীন পেশায় চালক ছিলেন এবং মাঝে মাঝে মাদক সেবন করতেন। পূর্বপরিচিত আসামিদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে তিনি অপকর্মেও জড়াতেন। গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে শাহীন বাবু, রাতুল ও ছোট বাবলুকে নিয়ে চুরির উদ্দেশ্যে মাজার এলাকায় গেলে উপস্থিত লোকজন বিষয়টি বুঝতে পারেন। পালানোর চেষ্টা করলে আসামিরা একত্রিত হয়ে লাঠি, সোটা ও লোহার রড দিয়ে শাহীনকে বেধড়ক মারধর করে ফেলে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে বিষয়টি জানার পর নিহতের ভাই মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে আসামি রাতুল শেখ ও জাহিদুল ইসলাম বাবুকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।







