যশোরে বোমা ও অস্ত্রসহ আটক পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড যুবদল-এর সাধারণ সম্পাদক আল মাসুদ রানাকে ব্যবসায়ী মীর শামির সাকিব সাদি হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন জানানো হয়েছে। বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মোমিনুল হক এ আবেদন করেন। এর আগে মঙ্গলবার শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকা থেকে যৌথ বাহিনী মাসুদ আল রানাকে আটক করে। তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ককটেল, পেট্রোল বোমা ও ধারালো অস্ত্র।
তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) মোমিনুল হক জানান, সাদি হত্যা মামলার আসামি ট্যাটু সুমনের জবানবন্দিতে জানা যায়, যুবদল নেতা মাসুদ আল রানা সাদিকে হত্যা করার জন্য সন্ত্রাসী তুহিনকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন রানা। মুজিব সড়কে নিজের দোকানে বসেই তিনি টাকা হস্তান্তর করেন। টাকা পাওয়ার পর তুহিন, ট্যাটু সুমন, মেহেদী হাসান অনিকসহ কয়েকজন মিলে সাদিকে বাড়ির ভেতরে গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় সাদির মা ট্যাটু সুমন ও মেহেদী অনিকসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে সুমন ও অনিক আত্মসমর্পণ করলে তাঁদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ। জবানবন্দিতে সুমন আরও জানায়, সাদির সঙ্গে রানার ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। সেই বিরোধ থেকেই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
পুলিশ জানায়, রানার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। সাদি হত্যা মামলায়ও তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন জানানো হয়েছে। রানাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সাদি হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন হবে।







