খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত—একদিকে ’৭২–এর বাকশালী চেতনাধারী একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী, অন্যদিকে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থনের পক্ষের দেশপ্রেমিক জনগণ। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে এ দুই ধারার মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তিনি বলেন, বিপ্লব–পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে ’৭২–এর বাকশালের দোসরদের কোনো স্থান হবে না।
মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রেসক্লাব যশোরের আব্দুল মাজেদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খেলাফত মজলিস যশোর জেলা শাখা এ কর্মীসভা আয়োজন করে।
আল্লামা মামুনুল হক জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরির জন্য পৃথক গণভোট না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের সিদ্ধান্ত জুলাই সনদের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে খর্ব করেছে। জুলাই সনদ বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল; এর জন্য আলাদা গণভোট হওয়া উচিত ছিল।”
তিনি আরও বলেন, তারপরও গণভোট হলে ৫ আগস্টের মতোই ঐক্যবদ্ধ হয়ে “হ্যাঁ” ভোটের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের পথ সুগম করতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, জুলাই বিপ্লব ও জুলাই সনদকে অকার্যকর করতে ভিনদেশি চক্র ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। দেশকে তাদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাঠে–ময়দানে জনগণের কাছে যেতে হবে। এই সনদই আগামীর বাংলাদেশের মুক্তির দুয়ার খুলবে।
সংখ্যালঘুদের বিষয়ে তিনি বলেন, “আগামী বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংখ্যালঘুদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ইসলামী শক্তি ক্ষমতায় এলে তাদের নিয়ে রাজনীতির সুযোগ–সন্ধানী সংস্কৃতি বন্ধ হবে এবং তাদের প্রকৃত অধিকার নিশ্চিত করা হবে।”
যশোর জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা অলিউল্লাহ মাহমুদ প্রমুখ।
