জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সাবেক নেতারা। তারা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশের পাশাপাশি দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
রায় ঘোষণার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সাবেক আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। তবে রায় ঘোষণার পরই থেমে থাকলে হবে না-যত দ্রুত সম্ভব রায় কার্যকরে ভূমিকা রাখতে হবে। ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনাকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৭১-এর স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। তারা ৭১-কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ানোর হুশিয়ারি দেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব জেসিনা মুর্শীদ বলেন, এ রায় রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। ন্যায়বিচার কখনো ব্যক্তি বা দলের স্বার্থ দেখে না-এ রায়ের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছে। এ রায়ে প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশে আইনের শাসন এখনো বিদ্যমান, এবং যেই-ই হোক না কেন আইন কাউকে ছাড় দেয় না। আমরা এ রায়কে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতিফলন হিসেবে দেখছি। একই সঙ্গে তিনি রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।
রাতদিন সংবাদ







