তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন
যশোরের এড়েন্দা বাজারে একই পরিবারের পাঁচজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করার প্রস্তুতি চলছে।
আহতরা হলেন, তিন ভাই ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জামান হোসেন, সদর উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন, রবিউল, এবং জামানের দুই ছেলে শিহাব ও সোহান।
স্বজনেরা জানান, জামান ও কামালের ভাইজি রিতুর শ্বশুরবাড়ি চৌগাছায়। সম্প্রতি তার শাশুড়ি মারা গেলে রিতুই এড়েন্দা গ্রামের শিমুল নামের এক নারীর সঙ্গে শ্বশুরের বিয়ে দেন। ওই বিয়ে দেয়ায় কাল হয়ে দাড়ায় তার জীবনে। বিয়ের পর থেকেই চৌগাছায় শ্বশুর, শাশুড়ি এবং রিতুর মধ্যে গোলযোগ শুরু হয়। এর মধ্যেই একদিন আগে শাশুড়ি শিমুলের সঙ্গে রিতুর হাতাহাতি হয়। এ অবস্থায় রিতু এড়েন্দা গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। অন্যদিকে শাশুড়ি শিমুল তার ভাই মানিক, নাসিম, সাজ্জাদসহ কয়েকজনকে পুরো বিষয়টি জানান। তাদেরকে শায়েস্তার নির্দেশ দেন।
সেই সূত্র ধরে সোমবার দুপুরে শিমুলের ভাই মানিকসহ আরও কয়েকজন রিতুদের বাড়িতে এসে হুমকি-ধামকি দেন। এরপর রিতুসহ তার মাকে মারধর এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর লুটপাট করে চলে যান। পরে বাড়িতে এসে কামাল ও তার ভাই জামান বিষয়টি জানতে পারেন। তারা মানিকের কাছে বিষয়টি জানতে যাওয়ার পথে মানিক, নাসিম, সাজ্জাদসহ ১০–১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলাকারীরা কামালের পিঠে ও কপালে একাধিক ছুরিকাঘাত করেন। জামানকে ছুরিকাঘাতে পেট ও বুকে গুরুতর জখম করা হয়। শিহাবের পেটেও একের পর এক ছুরিকাঘাত করা হয়। এসময় পরিবারের বাকিদেরও আঘাত করা হয়। হামলার পর মানিক ও তার সহযোগীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খন্দকার মাশহুরুল হক জুয়েল বলেন, আহতদের মধ্যে শিহাবের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এছাড়া জামানের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কামালের শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত রয়েছে। বাকি দুইজন আশঙ্কামুক্ত। পরীক্ষা চলছে। গুরুতর তিনজনকে রেফারের প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমরা মাঠে আছি।
এদিকে খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিএনপি নেতা আশরাফুজ্জামান মিঠুসহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জামান ও কামাল দুজনেই বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয়। তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। দ্রুত আসামিদের আটকের দাবি জানান আব্দুর রাজ্জাক।







