বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, যখনই দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তখনই দেশবিরোধী সকল অপশক্তির পরাজয় ঘটেছে। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা এক হয়ে দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছিল। আবার চব্বিশে ছাত্র-জনতার সংহতির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছিল। দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি—যাতে জনগণ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে, যে রাষ্ট্র জনগণের সব অধিকার নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও বলেন, “জনগণের বহু কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশার নির্বাচন নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হলে জাতীয় ঐক্যকে ইস্পাত-কঠিন করতে হবে। জাতীয় ঐক্য ও সংহতিই পারে দেশকে আধিপত্যবাদী শক্তির হুমকি থেকে রক্ষা করতে।”
শনিবার যশোর জেলা ছাত্রদল আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক নার্গিস বেগম এসব কথা বলেন। যশোর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এই সভায় তিনি বলেন, “একাত্তরে জনগণের মধ্যে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের চেতনা ছিল, কিন্তু সঠিক নেতৃত্বের অভাব ছিল। ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো’—এই আহ্বানে যুদ্ধের সূচনা হয়নি, বরং মানুষকে উত্তপ্ত করা হয়েছিল, দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার প্রস্তুতিও আমাদের ছিল না। এমন সময়ে পাক সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান ‘উই রিভোল্ট’ ঘোষণা দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু করেন। এরপর তিনি মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং নিজেই অস্ত্র হাতে রণাঙ্গণে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তার সেই ঘোষণায় দেশপ্রেমিক জনতা যুদ্ধে অংশ নেয়।”
তিনি আরও বলেন, “সদ্য স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যখন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল, তখন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশের সিপাহী ও জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলেন।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক তারেক।
সভায় বক্তব্য রাখেন—জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন বাবুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাজিদুর রহমান সাগর, ছাত্রদল নেতা সুমন আহমেদ, পিকুল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম বিল্টু, আকিমুজ্জামান, রাফুজ্জামান রাফি, শাহিদ হাসান আমি, রাজু বিশ্বাস প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি।







