যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া গাইদগাছি গ্রামে, কুয়েত প্রবাসী হাফিজুর মোড়লের স্ত্রী,দুই সন্তানের জননী সোনিয়া বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ নিজের সোবার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় নিজের সোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ,এসঅই ফজলুল হক জানান, কুয়েত প্রবাসী স্বামী হাফিজুর মোড়লের সাথে পারিবারিক কলহের জেরে আজ সকালে ফোনালাপে কথা কাটাকাটির পরে নিজের সোবার ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সোনিয়া।
বসুন্দিয়া ইউপি সদস্য আবদুল কাদের বলেন, বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী সোনিয়া বেগম বাড়িতে কাঁথা সেলাই করছিল, এরপর সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রবাসী হাফিজুর স্ত্রী সোনিয়ার মোবাইলে কল করে। কিন্তু সোনিয়া রিসিভ না করায় হাফিজুর তার পিতা সয়ির মোড়লের মোবাইলে কল দেন এবং স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চাইলে সোনিয়া প্রবাসী স্বামীর সাথে দুই মিনিটে কথা বলেই নিজের শোবার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এর কিছু সময় পার হয়ে গেলে শশুরের সন্দেহ হয়। এরপর তিনি জানালা দিয়ে দেখেন সোনিয়া বেগম গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আছে। তখন তার চিতকারে প্রতিবেশী অহেদুজ্জামান মোড়ল,নিহতের দেবর জিয়া মোড়ল সহ কয়েকজন এসে দেখে সোনিয়া ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। এরপর দরজা ভেঙে সোনিয়াকে উদ্ধার করে বসুন্দিয়া মোড়ে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে,চিকিসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
তবে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সনিয়া এর আগেও একাধিক বার বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন,য়ার ফলে হাফিজুর তার বাড়ির সমম্ত যায়গায় সিসি ক্যামেরা লগিয়েছে এবং বিদেশে বসে মনিটরিং করে। আত্মহত্যা চেষ্টার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন,স্বামী স্ত্রী উভয়ে পরকীয়ায় আসক্ত সেখান থেকেই পারিবারিক কলহ, আর সেই কলহের জেরেই আজকের এই আত্মহত্যা।
বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ফজলুল হক নিহতের সুরতহাল তদন্ত করেন। এরপর বিকালে মরদেহ যশোর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যান।
ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যা সাতটায় নিহতের মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। মৃত সোনিয়া বেগমের বাবা মিজানুর গাজী অভয়নগরের মডেল কলেজ এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক আলোচনায় রাত ৯ টায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাতদিন সংবাদ,জয়-







