ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু ডিজিটাল যুগের সুবিধা নিতে গিয়ে মানুষকে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে খুলনায় ‘ডিজিটাল দুনিয়ায় নারীর সুরক্ষা’ বিষয়ক ছোট চলচ্চিত্র ও রিল কনটেস্ট প্রদর্শনী করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিজয়ীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাটমিড) এর উদ্যোগে ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে বুধবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমে এ ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়।
আয়োজনের সার্বিক সহায়তায় ছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিন এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মবিনুল ইসলাম মবিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আশিকুর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিন প্রধান সারা মনামী হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম এবং কমিউনিটি ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম। অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়, যা দর্শকদের ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। পরে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্য থেকে পাঁচটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রথম স্থান অর্জন করেন ‘টিম সিল্ড’। এ দলের সদস্যরা হলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাতুল খান, তানিয়া তাবাসসুম ও মো. আব্দুর রায়হান। এ
ছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম মুক্ত করো ভয়’ এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম ব্লক’। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে। ঠিক তেমনভাবেই গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয় ঘটছে। তিনি আরও বলেন, সাটমিডের এমন কর্মসূচি আসলেই সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এমন কর্মসূচিকে তিনি সাধুবাদ জানান। একই সাথে সকলকে গুজব প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
