বিশেষ প্রতিনিধি:যশোরের শার্শা উপজেলায় জুয়ার আসর থেকে পাঁচ জুয়াড়িকে আটক করার পর তাদের নিয়ে নাটকীয়তার অভিযোগ উঠেছে।
৬ এপ্রিল, রোববার রাত ১০:৩০ মিনিটে শার্শা উপজেলার ইসলামপুর মোড়ের মজিবর রহমানের চায়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে শার্শা থানা পুলিশ পাঁচ জন জুয়াড়িকে হাতে নাতে আটক করে। এ সময় আটককৃতদের স্বজনরা পুলিশের গাড়ির সামনে ফিল্মি স্টাইলে শুয়ে পড়ে এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা দেয়। এ ঘটনার পর হট্টগোল শুরু হয় এবং এক পক্ষ পুলিশকে ম্যানেজ করে আটককৃতদের ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ ওঠে।
আটককৃতরা হলেন— কাজীরবেড় গ্রামের মজিবর রহমান (৫২), আব্দুল হাকিমের ছেলে হারুন অর রশিদ (৫৬), আলী আহম্মাদের ছেলে ওয়ালিউল্লাহ (৫০), সালাম ব্যাপারীর ছেলে কালু মিয়া (৬২) ও শুকুর আলীর ছেলে মারুফ হোসেন (৩৮)।
পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শা থানা পুলিশের একটি টিম, যার নেতৃত্বে এসআই সোহানুর রহমান, এসআই কামরুল ইসলাম, এসআই উজ্জল হোসেন ও এসআই হযরত আলী ছিলেন, ইসলামপুর মোড়ের মজিবর রহমানের চায়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ তাদের আটক করে। তবে, দুই ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের বক্তব্যে পরিবর্তন ঘটে।তাদের দাবি আটকৃতরা জুয়ারী নাও হতে পারে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আটককৃতরা পূর্বে চিহ্নিত জুয়াড়ি। আটকের পর তাদের স্বজনেরা তাদের নির্দোষ দাবি করে পুলিশকে বাধা দেয়। কিন্তু স্থানীয়রা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারন সার্কেল) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আটককৃতদের থানায় নিয়ে যান। তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ এখন পক্ষপাতিত্ব করছে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, আটককৃতদের থানায় আনার পর তাদের ছাড়ানোর জন্য তাদের স্বজনরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তারা রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্য নিতে চেষ্টা করছেন এবং পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য বিভিন্ন মহলে বৈঠক করছে। এমনকি তাদের ছাড়াতে মোটা টাকার অফার দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে সোমবার রাত সাড়ে বারোটায় শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম রাতদিন নিউজকে বলেন, “আটককৃতরা মূলত জুয়াড়ি কিনা তা যাচাই-বাছাই চলছে। বিভিন্ন সুপারিশের বিষয়ে তিনি বলেন, অপরাধী হলে কোন ধরনের সুপারিশে কাজ হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে।”
এ ঘটনার পর নানা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের বর্তমান ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
যা নিয়ে নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা ।