রমজান মাসে যশোর শহরবাসীর অন্যতম বড় ভোগান্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে মশার উপদ্রব। শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মশার উৎপাত অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। দিনরাত সর্বক্ষণ মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শহরবাসী। বিশেষত, ইফতার, সেহরি ও তারাবির সময় মশার অত্যাচারে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
মশার বিস্তার এবং শহরবাসীর দুর্ভোগ
যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় দিন ও রাতের যে কোনো সময় মশার উপদ্রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুরাতন কসবা, এম.এম কলেজ এলাকাসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে মশার দাপট ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের রোগী ও স্বজনরা মশার কারণে চরম কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। অফিস, আদালত, বাসাবাড়ি, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও মশার কামড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
পৌরসভার পদক্ষেপ
যশোর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু জানান, শহরের ৯টি ওয়ার্ডে ফগার ও স্প্রে মেশিন দিয়ে মশা নিধনের জন্য নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। তবে নাগরিকদের অভিযোগ, ওষুধ স্প্রে করার পর কিছু সময় মশার সংখ্যা কম থাকলেও পরবর্তীতে আবার একই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
পৌর প্রশাসক মো. রফিকুল হাসান বলেন, “আমরা মশা দমনে আন্তরিকভাবে কাজ করছি। শহরের ড্রেন ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি, ম্যালাথিয়ন, ফেনক্স এবং টেনিফসসহ কার্যকর ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে।”
মশা প্রতিরোধে নাগরিকদের করণীয়
যশোর শহরের মশার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদেরও কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানান পৌর কতৃপক্ষ।
- বাসা ও আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা – ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখা এবং অপ্রয়োজনীয় পানি জমে থাকা বন্ধ করতে হবে।
- ছাদবাগানের টবে পানি জমতে না দেওয়া – মশার লার্ভা বৃদ্ধির অন্যতম উৎস হলো জমে থাকা পানি।
- মশার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ – বাড়িতে মশারি ব্যবহার, বৈদ্যুতিক ব্যাট এবং স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যশোর শহরবাসীর জন্য মশার উৎপাত এখন বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই পৌরসভার কার্যক্রমের পাশাপাশি, নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই এ সমস্যা সমাধান সম্ভব।