স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের স্বীকৃতি দাবিতে যশোরের অভয়নগরে মোশাররফ হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হোমায়রা বেগম নামে এক নারী। মোশাররফ হোসেন নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রভাষক এবং মোশাররফ হোসেন খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কয়রা গ্রামের মুছাদ্দেক হোসেনের ছেলে। সোমবার দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তৃতায় হোমায়রা বেগম নিজেকে মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী দাবি করেন।হোমায়রা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর এমডি মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে ২০১৪ সালে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মোশাররফ যৌতুকের জন্য তাকে চাপ দিতে থাকেন। প্রথম পর্যায়ে দেড় লাখ টাকায় একটি মোটরসাইকেল, দ্বিতীয় পর্যায়ে মৎস্য ঘেরের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হয়। পরবর্তীতে আরও টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন মোশাররফ। টাকা দিতে না চাইলে শুরু করেন শারীরিক নির্যাতন। এরই মধ্যে তাদের ঘরে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। নাম রাখা হয় মেহরেুন জান্নাত। যার বর্তমান বয়স ১৫ মাস। নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে মোশাররফ হোসেন ২০১৯ সালে খুলনার দাকোপ থানার সাদেক গাজীর মেয়ে সাথী আক্তারকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর হোমায়রার ওপর নতুনভাবে নির্যাতন শুরু করেন। বন্ধ করে দেন সংসারের ভরণপোষণসহ যাবতীয় খরচ। হোমায়রা দাবি করেন, তিনি স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের স্বীকৃতির দাবিতে নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র ও নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের নিকট ধর্ণা দিয়েছিলেন। কিন্তু, কোনো সমাধান না পেয়ে গত ১৫ নভেম্বর অভয়নগর থানা এবং ১৭ নভেম্বর খালিশপুর থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হোমায়রা বেগমের বোন বৈশাখী খাতুন, ভাই বাবলু খান, জুয়েল রানা, অনিক ইসলাম এবং কন্যা মেহেরুন জান্নাত







