নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড় বাজারে ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে একাধিক দোকানে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাতনামা চোরেরা সুপার সপ ও মুদিদোকানে হানা দিয়ে নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বসুন্দিয়া মোড় বাজারের নড়াইল সড়কে অবস্থিত প্রিমিয়াম সুপার সপে ২৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে দেওয়ালের ভেন্টিলেটর ভেঙে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি পাল স্টোরের দোতলার টিন কেটে ও লোহার পাটাতন কেটে চোরেরা দোকানে প্রবেশ করে চুরি সংঘটিত করে।
প্রিমিয়াম সুপার সপের মালিক সৈয়দ পারভেজ হাসান (৩৮) কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো রাত ১১:৩০ টায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি যান। পরদিন সকাল ৮ টায় দোকান খুলে দেখেন ক্যাশ ড্রয়ার ও মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে এবং দেওয়ালের ভেন্টিলেটর ভাঙ্গা রয়েছে। দোকান থেকে নগদ টাকা ও মালামালসহ প্রায় ৩৮ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে, পাল স্টোরের মালিক পরেশ কুমার পাল জানান, প্রতিদিনের মতো রাত ৯ টায় দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি যান। পরদিন সকাল ৭ টায় এসে দেখেন, দোকানের লোহার পাটাতন কাটা, সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গা এবং ক্যাশবক্সসহ মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী ভোর ৪:০০ টার দিকে একজন মুখোশধারী ব্যক্তি ভেতরে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল ব্যাংক লেনদেন শেষে দোকানে রাখা নগদ টাকা, দামি সিগারেট, হরলিক্স, শিশুদের গুঁড়া দুধসহ আনুমানিক আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। আগের বছরও এমন একটি চুরির ঘটনা ঘটেছিল, তবে তখন কোনো প্রতিকার পাননি।
চুরির খবর পেয়ে বসুন্দিয়া মোড় বাজার কমিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে একটি পুলিশ ক্যাম্প, বাজার কমিটি এবং নৈশপ্রহরী থাকলেও এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে, যা তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বাজার কমিটির কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করছেন।
এ বিষয়ে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ফজলু দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অপরাধীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
বাজার কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জহিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, “আমরা এখনো দায়িত্ব বুঝে পাইনি, তবে এধরনের ঘটনা আমাদের বাজারে কখনো কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করব এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেব।”
বাজার কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক মাওলানা শাহ আলম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একটি অনুষ্ঠানে থাকায় তিনি ফোনে কথা বলতে পারছেন না, তবে রাত ৮ টায় বসুন্দিয়া মোড়ে সশরীরে এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
আর কে-১১
