যশোরে একাডেমি কাপ অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবলের প্রথম দিনে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যাচ দুটিতে স্বাগতিক শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি ও মাগুরা ফুটবল একাডেমি জয়লাভ করেছে।
শহরতলী হামিদপুরে একাডেমির মাঠে স্বাগতিকরা ৫-০ গোলে খুলনা ফুটবল একাডেমিকে পরাজিত করে। অন্য ম্যাচে মাগুরা ১-০ গোলে নড়াইল ফুটবল একাডেমিকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। মাগুরার একমাত্র গোলটি করেন সুজন।
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে যশোর শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির দক্ষিণাঞ্চলের চারটি একাডেমির অনূর্ধ্ব-১৮ খেলোয়াড়দের নিয়ে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ম্যাচে শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড়রা শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে। তাদের দাপটের মুখে খুলনা ফুটবল একাডেমির ফরোয়ার্ড লাইন ২-৩ বারের বেশি শামস্-উল-হুদা একাডেমির ডি-বক্সের মধ্যে বল নিয়ে যেতে পারেনি।
শুরু থেকে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও গোল পেতে শামস্-উল-হুদা একাডেমির ১৮ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিট ডান প্রান্ত দিয়ে একের পর এক আক্রমণ করেও তারা গোল করতে পারছিল না। কখনো প্রতিপক্ষের গোলকিপার হাতে স্পর্শ করে বা গোলবারের পাশ দিয়ে বল মারছিলেন।
১৫ মিনিট পর কৌশল বদলে বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ চালায় শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড়রা। এতেই মেলে সাফল্য। ১৮ মিনিটে ডি বক্সের সামনে থেকে প্লেসিং শটে ১-০ করেন স্বপন। ৫ মিনিট পর আবার শামস্-উল-হুদা একাডেমিকে আনন্দ এনে দেন স্বপন। ৪৪ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন তারেক। জুলুর হেড থেকে বাম পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তারেক। ৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন স্বপন। ৭৮ মিনিটে শেষ পেরেক ঠোকেন জয়।
আজ একই মাঠে বেলা সাড়ে তিনটায় ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান, শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির পরিচালক শামস্-বারী-শিমুল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এবিএম আখতারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ সোহেল মাসুদ হাসান টিটো, ক্রীড়া সংগঠক খায়রুজ্জামান বাবু, আনিসুজ্জামান পিন্টু, শফিউর রহমান মোহন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ক্রীড়া কর্মকর্তা আফম আশাফুদ্দৌল্লা টিটো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।