আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যশোর জেলা বিএনপির বহুল প্রতীক্ষিত সম্মেলন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির অভ্যন্তরে গঠনতন্ত্রের আলোকে নতুন নেতৃত্ব গঠনের আলোচনা জোরদার হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনপদে অনেকে আলোচনায় রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন দলের দুঃসময়ের কান্ডারি খ্যাত ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম। এসব বিষয়ে ফেসবুকে প্রচারণার ঝড় তুলেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা
বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, তার রয়েছে ব্যাপক সাংগঠনিক দক্ষতা। ছাত্রজীবন থেকেই রবিউল ইসলামের রাজনীতি শুরু। হয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। শুধু্ই তা না, তিনি হয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের অন্যতম নেতা। এছাড়া বর্তমানে তিনি ৩৪টি রাজনৈতিক মামলা কাধে নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতির দায়িত্বপালন করছেন। পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের শাসন আমলে তিনি বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন । ছয় বার কারাবরণ করেছেন। একটানা প্রায় চারমাস তাকে হাজতবাস করতে হয়েছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, দলের দু:সময়ে হাতেগোনা কয়েকজন বিএনপির ব্যানার ধরতো তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন রবিউল ইসলাম। তাকে তারা সবসময় পাশে পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তার যথেষ্ট যোগ্যতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
খোজ নিয়ে যানা যায়, ১৯৯৭ সালে সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে এজিএস হিসেবে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে জিএস ও ভিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১০-২০১৮ সাল পর্যন্ত যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির (খুলনা বিভাগ) দায়িত্বপালন করেছেন। ২০১৮ থেকে শুরু করে বর্তমানে তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতির দায়িত্বপালন করছেন। এরবাইরেও ২০১৯-২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের মাধ্যমে বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদের নেতা নির্বাচন করবেন।