চুড়ামনকাটি (যশোর) প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছা উপজেলার সলুয়া আদর্শ কলেজের এডহক কমিটি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা তালবাহানা দেখা যাচ্ছে। বর্তমান কমিটি বহাল থাকা অবস্থায়ও নতুন এডহক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল সাকিব ও বিদ্যোৎসাহী সাহিদুর রহমানের দায়িত্ব ২৫ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকার কথা থাকলেও, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নতুন এডহক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট আলীবুদ্দীন খান এবং বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে সাজ্জাদ হোসেনকে মনোনীত করা হয়, যা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু ৯ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করেই নতুন একটি চিঠি জারি করে পূর্বের কমিটিকেই বহাল রাখা হয়, যা নিয়ে কলেজ ও এলাকাজুড়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে কয়েকজন ক্ষুব্ধ অভিভাবক বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যখন ইচ্ছা যাকে খুশি এডহক কমিটির দায়িত্ব দেয়, আবার যখন ইচ্ছা তা বাতিল করে দেয়। এটা এক ধরনের প্রহসন।”
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক এ বিষয়ে বলেন, “উভয় চিঠিতে আমার স্বাক্ষর রয়েছে, তবে আমি শুধু উপাচার্য মহোদয়ের আদেশ পালন করেছি। এর ভালো-মন্দ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।”
এদিকে নতুন এডহক কমিটির মনোনীত সভাপতি অ্যাডভোকেট আলীবুদ্দীন খান বলেন, “আমরা উচ্চ আদালতে রিট করবো। আমি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং চৌগাছা উপজেলা বিএনপির নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক। আমার সঙ্গে বিদ্যোৎসাহী সাজ্জাদ হোসেনও ইউনিয়ন বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারি। বিএনপির রাজনীতি করার কারণে আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, আর আওয়ামী লীগের সমর্থিতদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।”
অন্যদিকে, বর্তমান সভাপতি আব্দুল্লাহ আল সাকিব ও বিদ্যোৎসাহী সাহিদুর রহমান দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কিভাবে তাদের আবার পুনর্বহাল করা হলো, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপি সমর্থিতদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে তাদেরকে এডহক কমিটি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
আর কে-০৩