যশোরের কেশবপুরে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয়টি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক ও কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মহাবিদ্যালয়টি শুরুতে শহীদ জিয়া মহাবিদ্যালয় নামে পরিচিত ছিল। পরে ২০১০ সালে নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয় রাখা হয়।
কলেজটিতে বর্তমানে ১৮ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে নির্মিত ১০ কক্ষের দুটি ভবনেই বর্তমানে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। তবে, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও শিক্ষা উপকরণের অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত। ফলে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম আর্থিক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। অনেক শিক্ষক অন্য চাকরির সুযোগ না থাকায় এই প্রতিষ্ঠানেই আটকে আছেন।
শিক্ষক ইদ্রিস আলী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ভবনগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে আর আসবাবপত্রের অভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।”
প্রভাষক শিরীন আরা পারভীন বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। সরকারি চাকরির বয়স না থাকায় অন্য প্রতিষ্ঠানে যাওয়ারও সুযোগ নেই।”
অধ্যক্ষ শেখ আব্দুর রহমান বলেন, “এমপিওভুক্তির আশায় শিক্ষকরা এখনও এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।”
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মহাবিদ্যালয়টি তাদের এলাকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এর ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা চিন্তিত।
এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা জরুরি। মহাবিদ্যালয়টির এমপিওভুক্তি এবং শিক্ষকদের মানবেতর জীবনের অবসান হওয়া প্রয়োজন।







