Wednesday, February 19, 2025

যশোরের বাঘারপাড়ায় ইউএনও’র কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হামলা, পাঁচজন হাসপাতালে

যশোরের বাঘারপাড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পন্ড করে দেয়া হয়েছে। ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পাঁচজন আহত হয়। আহতরা হচ্ছেন, সুজন মাহমুদ, হাদু, আলফিশান, অলিদ বিশ্বাস ও আব্দুল্লাহ। আহতদের পাঁচজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই সমাজ কল্যাণ ক্লাবের সদস্য।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বাঘারপাড়া সমাজ কল্যাণ ক্লাব নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন সরকারের। অনুষ্ঠানের প্রাক্কালের কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুবের সমর্থক বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল নেতা নাঈম, রাকিব, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব হৃদয় তারেক, ছাত্রনেতা রুহুল আমীন, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব বাবুল, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পারভেজ, যুবনেতা রবি ও রায়হানের নেতৃত্বে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়। যার নির্দেশ দাতা ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নাফিস ইকবাল ইসা নিজে। ওইসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সমাজ কল্যাণ ক্লাবের কয়েকজনকে মারপিট করে তারা।
বাঘারপাড়া সমাজ কল্যাণ ক্লাবের সভাপতি নাফিস খান লিটন বলেন,‘সমাজ কল্যাণ ক্লাবের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কেক কাটা ও কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রধান অতিথি ছিলেন। আমরা উপজেলা পরিষদের ভেতরে অনুষ্ঠান শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা উপজেলা গেটে আমাদের কয়েকজন সদস্যকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে পুলিশ এসে উভয়পক্ষকে শান্ত করে।’
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাফিস ইকবাল ইসা বলেন,‘আমি বাঘারপাড়ার বাইরে ছিলাম। ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানিনা।’
বাঘারপাড়া থানার ওসি আব্দুল আলীম বলেন.‘কম্বল বিতরণের বিষয়টি পুলিশ আগে থেকে জানতো না। যখন বিশৃঙ্খলার বিষয়টি শুনেছি তাৎক্ষণিকভাবে ফোর্স পাঠিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আপাতত পরিবেশ শান্ত আছে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন সরকার জানিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে আমার যাওয়ার কথা ছিলো। আমি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য আমার কার্যালয়েই অবস্থান করছিলাম। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ শান্ত করে।’

এদিকে, স্থানীয় একটি সূত্র জানায় মুলত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো তারা অ্যাডভোকেট সোহাগের অনুসারী। অন্যদিকে, টিএস আইয়ুবের অনুসারীরা সোহাগের অনুসারীদের কোনো অনুষ্ঠান করতে দেবেনা বলে হুমকি দিয়ে আসছিলো। এমনকি, এদিন প্রকাশ্যেই সোহাগের অনুসারীদের কোনো আয়োজন সফল হতে দেবেনা বলে হুশিয়ারি দেয় হামলাকারিরা।

বিশেষ প্রতিনিধি

- বিজ্ঞাপন

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর