যশোরের এম.এম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক বিল্টু, টিটোন, সাধারণ শিক্ষার্থী রানাকে মারপিট ও হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসী টোকাই সাগর ওরফে ভাগ্নে সাগরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে ছাত্ররা একট্টা হয়ে এমএম কলেজ ও আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। সন্ত্রাসী টোকাই সাগরের আস্থানা খ্যাত হকার্স মার্কেটের কয়েকটি দোকানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে।
সোমবার সাড়ে আটটার পর ওই এলাকায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরে। ঘটনাস্থলে হাজির হয় জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহবায়ক রাশেদ খান।
রাত ১০ টায় ছাত্রনেতা ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। শিক্ষার্থীরা জানায়, এদিন এমএম কলেজে দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের আয়োজন করে কলেজ কর্র্তৃপক্ষ। সন্ধা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক আয়োজন। এ উপলক্ষে কলেজ প্রাঙ্গনে ছাত্রদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো। এরমাঝে রাতে সন্ত্রাসী ভাগ্নে সাগরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এমএম কলেজে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এরপর ছাত্ররা একট্টা হয়ে সাগরকে ধাওয়া করে। কৌশলে পালিয়ে যায় সাগর। এসময় সাগরের অনুসারিরাও পাল্টা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিছু সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ হাজির হন ঘটনাস্থলে। তারা একট্টা হয়ে এমএম কলেজ প্রাঙ্গনসহ আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। ‘টোকাই সাগরের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট এ্যাকশান’ শ্লোগানে গোটা এলাকা কম্পিত হতে থাকে। পরবর্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর বলেন, সন্ত্রাসী সাগরের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী চক্র প্রতিনিয়ত এমএম কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে নানা অপকর্মে লিপ্ত। সরকার পতনের পর তারা এখন কলেজ ক্যাম্পাসে তেমন প্রবেশ করে না কিন্তু ঘাটি বাধে হকার্স মার্কেটে। সেখানে স্থানীয় একটি চক্র তাদের সেল্টার দেয়। এরমাঝে সোমবার রাতে সাগরের
নেতৃত্বে ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক বিল্টু, টিটোন, সাধারন শিক্ষার্থী রানার উপর হামলা চালায়। যার প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামে। তিনি দ্রুত সন্ত্রাসী সাগরসহ অন্যদের আটকের দাবি জানান।
স্থানীয়রা জানায়, এমএম কলেজ এলাকার বাসিন্দা সন্ত্রাসী সাগরের অত্যাচারে এলাকাবাসি অতিষ্ঠ। আওয়ামলীগের সরকার আমলে তিনি এমএম কলেজ, খড়কি, কলাবাগান এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। জেলা ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়দানকারী ওই সাগরের বিরুদ্ধে কেউ মুখখোলার সাহস পায়নি। ৫ আগস্টের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসে ফের
রাজত্ব কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছে ওই সন্ত্রাসী সাগর। তিনি হকার্স মার্কেটে বিভিন্ন দোকানে অবস্থান নেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল জানান, এক ছাত্রকে মারপিট করেছে সন্ত্রাসী সাগর। তার প্রতিবাদে ছাত্ররা রাজপথে নেমেছেন এসমন সংবাদ শুনে তারা ঘটনাস্থলে হাজির হন।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী সাগরের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে ফের অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, ছাত্রদের মধ্যে রোহান নামের একজন বিক্ষোভ করার সময় অসুস্থ্য হয়ে পরে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়।







