মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া মুক্তেশ্বরী নদীতে এক সময় জোয়ার ভাটা বয়তো। নদীর জোয়ারের পানিতে একটি বৃক্ষর ছোট চারা ভাসতে ভাসতে ব্রহ্মপুর গ্রামের দোহা নামক স্থানে রাস্তার পাশে আটকে যায়। সেখানেই আসতে আসতে বৃক্ষটি বড় হতে থাকে।
আজ থেকে প্রায় ৫০বছর আগে বৃক্ষটি যে রকম ছিলো এখনো সে রকম আছে বলে অনেকের ধারনা। বর্তমান বৃক্ষটির বয়স কত হয়েছে সে তথ্য কেউ দিতে পারছে না। কেউ, কেউ বলে এক থেকে দেড়শত বছর হতে পারে। তবে সব চাইতে মজার বিষয় হলো বৃক্ষটির নাম কি? তা আজও পর্যন্ত কেউ চিহ্নিত করে বলতে পারছে না। তবে পূর্ব পুরুষরা নাম দিয়েছে অচিন্ত বৃক্ষ। সে থেকে অচিন্ত বৃক্ষ নামে পরিচিত বৃক্ষটি। ঢাকুরিয়া এলাকায় সব দিকে যাতায়াতের রাস্তা ঘাট ভালো হওয়ার কারণে স্থানের নাম রাখা হয়েছে ব্রহ্মপুর অচিন্ত তলা মোড়। বৃক্ষটির বয়স অনুমানিক দেড়শত বছর হলেও আজও পর্যন্ত কোন লোক বৃক্ষটি নাম চিহ্নিত করতে পারিনি। বৃক্ষটির তলায় একটি কালী মন্দীর নির্মান কাজ চলছে। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতি বছর কালী পূজা উযাপন করে আসছে। মুক্তেশ্বরী নদীর দোহা স্থানটির ভংকার জায়গার নাম। কোন জেলেরা দোহায় কোন দিন মাছ শিকার করতে যেতো না। সেখানে গেলে নাকি কেউ ফিরে আসতো না। ওখানে কতো পানি তা কেউ জানে না। দোহার পাশে অজানা এই বৃক্ষটি জন্ম হয়েছে। বৃক্ষটির মূল কোন ধড় নাই মোটা মোটা শিকড় মাটি থেকে উপর দিক উঠেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন জানায়, বৃক্ষটির সম্পর্কে আসলে আমি কিছু জানি না। বাপ দাদাদের মুখে শুনে আসছি ওই স্থাটি ছিলো ভংকার জায়গা। সেখানে কেউ যাতো না বৃক্ষটি জোয়ার ভাটার স্রোতে ভেসে এসে ওই স্থানে বড় হয়েছে। বৃক্ষটির সঠিক কি নাম তা কেউ বলতে পারে না। পূর্ব পুরুষরা বৃক্ষটিকে কেউ চিহ্নিত করতে না পারায় নাম রেখেছে অচিন্ত।
ব্রহ্মপুর গ্রামের গোবিন্দ চক্রবর্তী (বাবু) জানায়, অনেক আগের কথা আমার দাদা দাদের মুখে শুনা মুক্তশ্বরী নদীর পানিতে ভেসে এসে দোহার পাশে বৃক্ষটি এসে থামে। সেখান থেকে বৃক্ষটি আর কোথাও যেতে না পারায় ওখানে তার স্থান হয়। অনেক লোকে বৃক্ষটির দেখেছে কিন্তু আসল কি নাম কেউ চিহ্নিত করতে পারে নয়। তারা বৃক্ষটির নাম দিয়ে গেছে অচিন্ত। আমরা স্ইে অচিন্ত নামে বৃক্ষটি চিনি।







