Friday, December 5, 2025

মনিরামপুরে ভবদহ অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ

শফিয়ার রহমান, মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে যারা জনগণের ভোটের প্রত্যাশা করেন তারা ভবদহবাসির দুঃখ কষ্টের কথা কিভাবে ভাববেন? এটা চিন্তা করা ভুল। বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে ভবদহে স্থায়ী সমাধান কিভাবে করতে হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। দেশ নায়ক তারেক রহমান ভবদহ সরেজমিনে দেখতে আসবেন। তিনি কথা দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভবদহবাসির দুঃখ, কষ্ট লাঘবের জন্য সকল প্রকার চেষ্টা করা হবে।

রবিবার মনিরামপুর বিএনপি আয়োজিত ভবদহের স্থায়ী সমাধানকল্পে আয়োজিত লং মার্চ শেষে কুমারঘাটা রাজবংশীপাড়া কালী মন্দির চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন, মনিরামপুর থানা বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এ্যাড. সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দীকি, কেশবপুর থানা বিএনপি’র সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান খান, জেলা বিএনপি’র সদস্য আলহাজ¦ মোঃ মুছা, কেশবপুর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, মনিরামপুর থানা বিএনপি নেতা মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক মিন্টু, মণিরামপুর থানা যুগ্ম আহŸায়ক আসাদুজ্জামান মিন্টু প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনিন্দ ইসলাম অমিত আরো বলেন, ভবদহপাড়ে ভুক্তভোগী জনগণের কাছ থেকে এই মুহুর্তে ব্যাংক, বীমা, এনজিও’র কিস্তি আদায় বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, আমডাঙ্গা খাল ৮৪ কিলোমিটার পুনঃ খনন পূর্বক পানির স্রোত ধারা প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবদহ সমস্যার সমাধানের বিকল্প নেই। ভবদহকে পুঁজি করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এবং এলাকার বিশেষ একটি গোষ্ঠী এটিকে কখনও স্থায়ী সমাধান চাননা বলেই কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেও জনগণের কোন উপকারে আসেনি।

প্রায়াত মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম এবং আফছার আহমেদ সিদ্দীকি যখন জাতীয় সংসদের প্রতিধিত্ব করেছেন সে সময় যতটুকু উন্নয়ন করা হয়েছিল তার উপর ভিত্তি করেই এক যুগের মত এ এলাকার জনগণ ভাল ছিল। বিগত ১৬ বৎসরে এখানে যত সরকারি বরাদ্দ করা হয়েছে তা সবই লুটপাট করা হয়েছে।

এই মুহুর্তে জগণের স্বস্তির জন্য জেলা প্রশাসক ও বর্তমান সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে একটি ব্যবস্থা করা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে বলেন, ভবদহের সৃষ্ট সমস্যার জন্য মনিরামপুর, কেশবপুর, ফুলতলা, ডুমুরিয়া ও অভয়নগর থানার ৫২টি বিলের পানি না সরার কারনে এলাকার জনসাধারণ মানবতার জীবন-যাপন করছে।

এছাড়া, অনিন্দ ইসলাম অমিত আরো বলেন, বিগত ১৬ বৎসরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পানি সরানোর জন্য যে সেচ ব্যবস্থা করে আসছে ২৪ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে আজ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে তারও দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আর কে-০১

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর