যশোর অভনগরের পাঁচকবর এলাকার শিশু শামীমা আক্তার নিহতের ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে যশোর আদালতে হত্যা মামলা হয়েছে। সোমবার ওই এলাকার নাছিম মিয়ার স্ত্রী নিহতের মা সাবিনা ইয়াসমিন এ মামলা করেছেন।মামলার আসামিরা হলেন পাঁচকবর তুলোর মিল রোডের রেজাউল শেখ ও তার স্ত্রী লাবনী শেখ এবং ছেলে প্লাবন শেখ। অতিরিক্তি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেন অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন। তবে এখনো আদেশ দেননি।মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, বাদী ও তার স্বামী নাছিম নওয়াপাড়ায় শ্রমিকের কাজ করে। তারা পাঁচকবর এলাকার তুলোর মিলের রাস্তা সংলগ্ন গফুর সরদারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। শামীমা আক্তার নওয়াপাড়া কলাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়তো। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে আসামি প্লাবন তাকে উত্যক্ত করত। বিষয়টি শামীমা তার পিতা ও মাকে জানায়। পরে বিষয়টি প্লাবনের পরিবারকে জানায়। অথচ প্লাবনের পরিবার এ নিয়ে কর্ণপাত করে না। এতে প্লাবন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। চলতি বছরের ৯ জুন শামীমার মা ও বাবা কাজে যায়। এরমধ্যে আসামি প্লাবন তাদের বাড়িতে এসে শামীমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। শামীমা রাজি না হয়ে চিৎকার শুরু করে। এসময় গলাচেপে শ্বাসরোধে হত্যার পর শামীমাকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে প্লাবন চলে যায়।পরে আত্মীয় রেহানা বেগম এসে কাউকে না পেয়ে ঘরে উঁকি দিয়ে শামীমার ঝুলন্ত দেহ দেখে বাদীকে জানায়। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় শামীমার লাশের ময়নাতদন্ত ও নওয়াপাড়ায় লাশ দাফনে বাধা দেয়। একপর্যায়ে শামীমার লাশ চুয়াডাঙ্গা জেলার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে আসামিদের বাধার কারণে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
রাতদিন সংবাদ







