Friday, December 5, 2025

শহরের বকচর মোড় থেকে নীলগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা

 যশোর শহরের বকচর মোড় থেকে নীলগঞ্জ সড়কটির বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোন গ্রহণ করেননি।জরুরি প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া মানুষরা দুর্ভোগ সঙ্গী করেই হেঁটে পানিতে ভিজে গন্তব্যে যান।

প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করে থাকে। সড়কের চলাচলকারী যানবহনগুলো মানুষের দুর্ভোগের প্রধান কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। রাস্তায় বড় বড় খানা খন্দগুলোয় জমে থাকা পানিতে মানুষের ভিজিয়ে টাপুরটুপুর করে দিচ্ছে। বিশেষ করে নামাজির মানুষেরা পড়েছে সবচেয়ে বিপদে।

শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। এদিন পৌর এলাকার মূল রাস্তাসহ পাড়া-মহল্লার রাস্তায় কোথাও হাঁটুপানি, আবার কোথাও রাস্তার উপর পানির ¯্রােত বয়ে যায়। পানিতে ময়লা-আবর্জনা ভাসতে থাকে। ময়লা-আবর্জনার ছড়ায় উৎকট দুর্গন্ধ। স্থানীয় লোকজন বলছেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই যশোর পৌর এলাকা পানি থৈ থৈ করে।

বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। নীলগঞ্জের বাসিন্দা নীলকমল সাহা বলেন, মাত্র দুই ঘন্টার বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের সক্ষমতা নেই যশোর পৌর সভার। অথব জলাবদ্ধতা দূরকরণে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

বিগত পৌর মেয়র বকচর মোড় থেকে নীলগঞ্জ সড়কটি একবার রাস্তাটি সংস্কার করেছিলো। এরপর আর কেউ এই সড়কটি দিকে তাকাননি। ফলে কেউ এই সড়কটি সড়স্কার করতে এগিয়ে আসেনি।

ওই এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক অজিত কুমার পাল বলেন, পানিতে ভিজে হেঁটে হেঁটেই যাতায়াত করতে হয় তাদের। হাঁটতে গিয়ে অসাবধানতাবশত অনেকে পা পিছলে দুর্ঘটনায়ও পড়ছেন। তবে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বর্ষা হলে কেউই বাসার বাইরে বের হয় না। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকে।

তিনি আরো বলেন,  একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বকচর মোড় থেকে নীলগঞ্জ। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শত যানবহন চলাচল করে। লাখ লাখ মানুষ যাতাযাত করে। এত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ার ফলেও এই সড়কটির দিকে কর্তৃপক্ষ কোন খবর রাখেন না।

 

আর আই-০৮

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর