শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার ঘটনাটিকে একটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
আইসিসির বিবৃতি অনুসারে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট তার সদস্য হিসেবে একটি গুরুতর প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেছে। বিশেষ করে, স্বায়ত্তশাসিতভাবে ক্রিকেট পরিচালনার এবং শাসন, প্রবিধান এবং প্রশাসনে কোনও সরকারি হস্তক্ষেপ না থাকার নিশ্চয়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার জন্য মূলত দুটি ঘটনা দায়ী। প্রথমটি হলো, বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ভরাডুবি। এই ব্যর্থতার জন্য বোর্ডের কর্তাদের তীব্র সমালোচনা করা হয়। এর মধ্যেই বোর্ডের সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা পদত্যাগ করেন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি হলো, বোর্ডের কর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহে বোর্ডের সকল সদস্যকে বরখাস্ত করেন। তবে লঙ্কান আদালত তাদের পুনরায় স্বপদে বহাল করে দেয়।
এই ঘটনার পর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে পরিচালনার জন্য আইসিসি চাপ দেয়। কিন্তু বোর্ডের কর্তারা এই চাপের কাছে নতি স্বীকার করে না। ফলে আইসিসি শেষ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের জন্য আগামী কয়েক মাস কঠিন হতে পারে। তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে না পারলে তাদের ফর্ম ধরে রাখা কঠিন হবে। এছাড়াও, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে আইসিসির নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে হবে। এতে বোর্ডের গঠন ও কার্যক্রমে পরিবর্তন আনা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জড়িত।







