আইসিসির আম্পায়ারিং ডেভেলপমেন্ট প্যানেল প্রথমবারের মতো যুক্ত করেছে পাঁচ বাংলাদেশি নারীকে। এই তালিকায় চার আম্পায়ারের সঙ্গে আছেন একজন ম্যাচ রেফারি। নারী আম্পায়ার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন সাথিরা জাকির জেসি, রোকেয়া সুলতানা, ডলি রানি সরকার ও চম্পা চাকমা। এছাড়া ম্যাচ রেফারি হিসেবে সুপ্রিয়া রানী দাস ওই প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
প্রথমবার আইসিসির প্যানেলে ৫ বাংলাদেশি নারী থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু। বাংলাদেশি নারী আম্পায়ারদের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করে বিসিবিকে এক বার্তা দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
পুরুষ ও নারী আম্পায়ারদের মানোন্নয়নে আইসিসির সঙ্গে যুক্ত হয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি। কদিন আগেই জেসি ও মিশু চৌধুরীকে আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। জেসি ও মিশুর যাত্রা শুরু হচ্ছে চলমান ডিপিএল দিয়েই। একজন থার্ড আম্পায়ার বা একজন অনফিল্ড আম্পায়ার, এভাবেই শুরু হবে ধীরে ধীরে। নারী-পুরুষ মিলিয়ে বর্তমানে ২৬ জন আম্পায়ার বিসিবির চুক্তিতে রয়েছেন। এর মধ্যেই এলো আইসিসির ডেভলপমেন্ট প্যানেলে বাংলাদেশি নারী আম্পায়ারদের যুক্ত করার সংবাদ।
এ বছর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপে তাদের সুযোগ করে দেওয়ার রাস্তাও আরেকটু সহজ হলো বলে মনে করেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু, ‘আমাদের নারীদের জন্য এটা দারুণ অর্জন। মেয়েরা এখন এটাকে ক্যারিয়ার হিসেবেও নিতে পারবে। নতুন যে মেয়েরা আসতে চায়, আইসিসির এই স্বীকৃতির মাধ্যমে সেই আত্মবিশ্বাস তারা পেয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বড় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশি নারী আম্পায়ারদের অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়বে এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে।’
আম্পায়ারিংয়ে ইতিহাস গড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জেসি। তিনি লিখেছেন, ‘আমি খুশি, কারণ আমি কৃতজ্ঞ। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আজ থেকে আমি আইসিসির নারী ডেভলপমেন্ট প্যানেলের অংশ। এজন্য বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু ভাই, ওমর রতন ভাই, অভি ভাই, বুলবুল ভাই, তৌহিদ ভাই ও মুন্না ভাইসহ সবাইকে ধন্যবাদ। তারা আমার চলার পথকে সহজ করেছেন। এমন আনন্দের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। পরবর্তী অধ্যায় শুরু করতে মুখিয়ে আছি।’
সাবেক ক্রিকেটার মিশু দারুণ খুশি এই অর্জনে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে শিশু বলেছেন, ‘আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু ভাইসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভাবতে খুব ভালো লাগছে, আমি এখন আইসিসি আম্পায়ার্স প্যানেলের অংশ। আশা করি সামনে আরও ভালো কাজ করে এলিট প্যানেলেটর সদস্য হতে পারবো। আমাদের দেখে অন্য মেয়েরাও আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেবে।’
-অনলাইন ডেস্ক