কবি জীবনানন্দ দাস লিখেছিলেন, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়। ফুটবল মাঠে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ অনায়াসে গুঁড়িয়ে দিতে যিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত, তিনিও শেষমেশ হার মেনেছিলেন জীবনের ময়দানে। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৮২ বছর বয়সে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেন এডসন অ্যারান্তেস দো নসিমন্তে; ফুটবলের রাজা পেলে নামেই বিশ্বজোড়া খ্যাতি যার। ব্রাজিল কিংবদন্তির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
গত বছর কাতার বিশ্বকাপের সময় অসুস্থ ছিলেন পেলে। বেশিরভাগ খেলাই দেখেছেন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে। সে বিশ্বকাপে ৯ ডিসেম্বর কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে ছিটকে পড়ে ব্রাজিল। এর ২০ দিন পরই ৮২ বছর বয়সে মারা যান পেলে।
‘এএফপি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ছেলে এডিনহোর কণ্ঠে ঝরে পড়ে আক্ষেপ। বলেন, বাবা বেঁচে থাকলে ব্রাজিলের এই অবস্থা দেখে খুব কষ্ট পেতেন।
ফুটবলের বাইরে রুপালি পর্দাতেও পেলেকে দেখা গেছে। ১৯৬৯ সালে ব্রাজিলিয়ান টেলিভিশনের ধারাবাহিক ওস এস্ত্রানহোতে প্রথম দেখা গিয়েছিল কালো মানিককে। হলিউডের ছবি এসকেপ টু ভিক্টোরিতে মাইকেল কেইন, সিলভেস্টার স্ট্যালোনদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এক যুদ্ধবন্দির চরিত্রে অভিনয় করেছেন পেলে।
-অনলাইন ডেস্ক