সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় এ্যাসিড জাতীয় পদার্থে দগ্ধ তরুণী তামান্না খাতুন মারা গেছেন। সোমবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তামান্না খাতুন তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার বড় কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল হকের মেয়ে।
পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার (৫ মে) সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে স্বামীসহ তামান্নাকে (এ্যাসিড জাতীয় পদার্থ দিয়ে হত্যার চেষ্টা) দগ্ধ সেই তরুণীর মৃত্যু করেন সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেন। এরপর থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন তামান্না।
এ ঘটনায় তামান্নার বাবা আব্দুল হক পাটকেলঘাটা থানায় সাবেক স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন। প্রধান অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন কলারোয়া উপজেলার তুলসিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
তামান্নার পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার (১০ মে) তার মৃতদেহ সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় আনা হবে। বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, দগ্ধ মেয়েটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। এরই মধ্যে মামলার প্রধান আসামি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনিও শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তামান্নার স্বামী ফরহাদ হোসেনও দগ্ধ অবস্থায় একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, সাদ্দাম হোসেন নিজের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে একসঙ্গে মরবেন বলে তামান্নাকে জড়িয়ে ধরেন। তখন তিনজনই কম-বেশি দগ্ধ হন।
অনলাইন ডেস্ক