Friday, May 3, 2024

অভয়নগরের ইউপি নির্বাচন কাল, পানি থৈথৈ সাত ভোটকেন্দ্র

- Advertisement -

সৈয়দ রিপন,অভয়নগর প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে আগামীকাল রোববার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার আট ইউনিয়নে ৮৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে তিনটি ইউনিয়নের ২৭টি কেন্দ্রের মধ্যে সাতটিতে পানি রয়েছে। ফলে এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের কোনো পরিবেশ নেই। যশোরের অভয়নগর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ভবদহ অধুষ্যিত এলাকা। ভবদহ সুইসগেট দিয়ে পানি নিস্কাশিত না হওয়ায় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। টেকা, শ্রীহরি ও মুক্তেশ্বরী নদীতে পলি পড়ে নদী ভরাট হয়ে উঁচু হওয়ায় সুইসগেট দিয়ে পানি নিস্কাশিত হয় না, এর ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। গত শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু সমান পানি। সড়ক থেকে ভবন পর্যন্ত বালু দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে ডহর মশিয়াহাটী (দক্ষিণ) গ্রামের ৯৩৪ ভোটার রয়েছেন। ডাঙ্গা মশিয়াহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় দেড় ফুট পানি। এই কেন্দ্রে ডহর মশিয়াহাটী (উত্তর) ও ডাঙ্গা মশিয়াহাটী গ্রামের ৯৯৫ ভোটার রয়েছেন। ইউনিয়নের সড়াডাঙ্গা ডহর মশিয়াহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠেও রয়েছে হাঁটু সমান পানি। এই কেন্দ্রে সড়াডাঙ্গা ও ভাটবিলা গ্রামের এক হাজার ৩৩৪ নারী ও পুরুষ ভোটার রয়েছেন। পানি রয়েছে ইউনিয়নের সুন্দলী এস টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে। এই কেন্দ্রে সুন্দলী গ্রামের এক হাজার ৫০৯ ভোটার রয়েছেন। ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের বিকাশ মন্ডল বলেন, মাঠে হাঁটু সমান পানি। তবে বিদ্যালয়ের কক্ষে পানি নেই। পাশের পাকা সড়ক এবং বিদ্যালয়ের বারান্দায় কষ্ট করে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে হবে। চলিশিয়া ইউনিয়নের ডুমুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের মাঠে প্রায় দুই ফুট পানি। বিদ্যালয়ের সামনের পাকা সড়কেও এক ফুট পানি রয়েছে। ওই কেন্দ্রে ঢোকার কোনো পরিবেশ নেই। এই ভোটকেন্দ্রে ডুমুরতলা, আন্ধা (উত্তর) ও বেদভিটা- এই তিন গ্রামের এক হাজার ১৫৯ ভোটার রয়েছেন। ইউনিয়নের আন্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এক হাতেরও বেশি পানি রয়েছে। পানি ভেঙে বিদ্যালয়ে ঢুকতে হবে। এই ভোটকেন্দ্রে আন্ধা (দক্ষিণ) ও চলিশিয়া (পশ্চিম) গ্রামের এক হাজার ২১৪ জন ভোটার রয়েছেন। পায়রা ইউনিয়নের আনন্দ নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেও হাঁটু পানি। ভোটকেন্দ্রে ঢোকার পরিবেশ নেই। এ জন্য বিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরে বড় পুকুরের পাড়ে ফাঁকা জায়গায় পালপাড়া মোড়ে অ¯’ায়ী ভোটকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে চোমরডাঙ্গা এবং বারান্দী (পশ্চিম) গ্রামে এক হাজার ৭১৭ ভোটার রয়েছেন। বারান্দী গ্রামের আবির হোসেন বলেন, আনন্দ নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানির কারণে ভোট দেওয়ার মতো অব¯’া নেই। অভয়নগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম হাবিবুর রহমান বলেন, সুন্দলী, চলিশিয়া ও পায়রা ইউনিয়নের সাতটি ভোটকেন্দ্রে পানি রয়েছে। কেন্দ্রগুলোর একটিতে ভোট গ্রহণের পরিবেশ না থাকায় পাশের ফাঁকা জায়গায় অ¯’ায়ী ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে। অন্য কেন্দ্রগুলোতে ছ্‌াত্রছাত্রীরা যেভাবে গিয়ে ক্লাস করে, সেভাবে ভোটাররা গিয়ে ভোট দেবেন। ভোট গ্রহণে অসুবিধা হবে না।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত