যশোর শহরের শংকরপুরের কিশোরী আশামনিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে চারজনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলাটি করেছেন মৃত কিশোরীর পিতা আহাদ আলী। আসামিরা হলেন, বাঘারপাড়ার ধলগ্রামের কিশোর ইয়াসিন হোসেন, তার পিতা মিলন হোসেন, চাচা শাহিনুর রহমান ও নিহতের ভাবি তিথি বেগম। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে সিআইডি যশোরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তার ছেলের সাথে তিথি বেগমের বিয়ে হওয়ায় প্রায় সময় ইয়াসিন আসতেন। এরমধ্যে বাদীর মেয়ের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ইয়াসিন আশামনিকে কুপ্রস্তাব দিলে সে নাকচ করে দেয়। পরবর্তীতে ইয়াসিন ও তিথি বেগম বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়। পরে মেয়ে তার বাবা আহাদ আলীকে জানালে তিনি গত ২০ জুলাই আসামিদের শংকরপুরের বাসায় ডাকেন। ওইসময় আহাদ আলীর কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াসিন, তিথি, তাদের পিতা মিলন হোসেন ও চাচা শাহিনুর রহমান মেয়েকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা রটনা করে। একইসাথে গলায় দড়ি দিয়ে মরতে বলে তারা। এরপর ২১ জুলাই রাত আটটায় নিজকক্ষে কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে আশামনি। অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে যশোর আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয়। পরে ২২ জুলাই রাত আটটায় খুলনায় নেয়ার পথে মারা যায় মেয়েটি।
রাতদিন সংবাদ