Saturday, May 4, 2024

যশোরে পৃথক নয় মামলায় ১০ জনের সাজা

যশোরে পৃথক নয়টি মামলায় ১০ জনের পৃথক মেয়াদে সাজা প্রদান করেছে আদালত। একইদিন আরো সাতটি মামলার রায় ঘোষণা করে খালাস প্রদান করা হয়েছে। বুধবার যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ শিমুল কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলি লতিফা ইয়াসমিন ও ভীমসেন দাস।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল আটটা ৪৫ মিনিটি বেনাপোল পোর্টথানাধীন দিঘীর পাড় এলাকা থেকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে বেনাপোল সার্কেলের সদস্যদের হাতে নিজ বাড়ী থেকে আটক হয় ওই গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে লিয়াকত হোসেন। এসময় তার বাড়ির খাটের নিচে থেকে ২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় পরিদর্শক সালিমুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় পলাতক আসামি লিয়াকত হোসেনকে পাঁচবছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে, ২০০৬ সালের ২৩ অক্টোবর যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজার থেকে বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার হরিনখানা গ্রামের সেলিম ফরাজীর ছেলে মোহাম্মদ আলামিনকে ৪০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সদস্যরা । এঘটনায় এসআই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় পলাতক আলামিনকে চারবছরের সশ্রম কারাদন্ড ও একহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও মাসের সশ্রম কারাদন্ডে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১২ সালের পহেলা জুলাই যশোর সদর উপজেলার হাইকোর্ট মোড় থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে জাল টাকা ও টাকা তৈরীর সরঞ্জাম সহ আটক হয় ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগরের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে হাসান আলী ও মাদারীপুর জেলার কাশিয়ানী উপজেলার পূর্ববালিগ্রামের মৃত দলিল উদ্দিনর ছেলে শাহ আলম ওরফে ইসহক। এ মামলায় পলাতক দুই আসামির তিনবছরের সশ্রম কারদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে, ২০১২ সালেল ১৫ জুলাই যশোর শহরের রায়পাড়া থেকে রেলস্টেশন মাদ্রাসা থেকে ওই এলাকার কুরবান আলীর ছেলে জুম্মানকে দেড় লিটার বিলাতী মদ সহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যশোর সদর সার্কেলের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় আদালত পলাতক আসামি জুম্মানকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া, ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ধোপাখোলা গ্রাম থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক হয় শার্শা উপজেলার কাগমারী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মজনু মিয়া। এঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই খবির হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আদালত পলাতক মজনু মিয়ার এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড একহাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া তিনটি চেক ডিজঅনার মামলায় তিনআসামির পৃথক মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ড প্রদান করেছে একই আদালত।
ঢাকা খিলক্ষেত এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে পলাতক এ.এস.এইচ.এম রব্বানীকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের আশি লাখ টাকা অর্থদন্ড, যশোর সদর উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে পলাতক আসামি আমজাদ হোসেন কিরণকে নয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের চার লাখ বত্রিশ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকার কাজী রকিব হোসেনের ছেলে কাজী হাফিজুর রহমানকে ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকের পাঁচলাখ ৬০ হাজার আটশত টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
এছাড়াও একই আদালত আরও সাতটি মামলার রায় ঘোষণা করে। এ সাত মামলায় সাত আসামিদের খালাস প্রদান করে আদালত।
রাতদিন সংবাদ
- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত