ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে ইসমাইল হোসেন সুজন নামে এক হাফেজিয়া মাদরাসা প্রধানকে ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে সদর উপজেলা গোপালপুরের একটি বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের সময় তার দুই হাত ও পা কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। সে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতো। নিহত সুজন সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের স্কুল শিক্ষক ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে ও বড় বাড়ি নূরানী হাফেজিয়া মাদরাসার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।মৃতের স্ত্রী স্মাত জাহান টুনি জানান, ইসমাইল রোববার সন্ধ্যায় এলাকায় সুশান্ত নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাইরে যায়। এরপর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। তার দাবি ইসলাম সম্প্রতি সে গোপালপুর এলাকার একটি মন্দিরের কাছে একটি জমি ক্রয় করেন। এই জমিটি নিয়ে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সমস্যা সৃষ্টি হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা জমিটি না নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। সম্প্রতি জমিটি ফিরিয়ে দিতে টাকা ফেরত নিয়েছিল নিহত ইসমাইল।এদিকে ইসমাইলের বাবা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমার ছেলে তার বউয়ের সঙ্গে পারিবারিক কোন্দলের জেরে বাড়ি ছেড়ে গোপালপুরের শরিফুল নামে এক ব্যক্তির ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল।স্থানীয় কাজি তৌহিদুর রহমান বলেন, রোবাবার সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে গিয়েছিল সুজন। আমার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর মাদরাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায়। এরপর সকালে তার মরদেহ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে এসেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া ঝিনাইদহের অ্যাডিশনাল এসপি আবুল বাশার বলেন, তদন্ত চলছে, এটি হত্যাকাণ্ড কীনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।