Saturday, May 4, 2024

মৎস্য কর্মকর্তার উদাসীনতায় বাঘারপাড়ার চিত্রা নদীতে আঁড়বাঁধ দিয়ে চলছে মাছ শিকার!

- Advertisement -

আজম খাঁন(বাঘারপাড়া)প্রতিনিধি: যশোরের বাঘারপাড়া চিত্রা নদীতে আঁড় বাঁধ দিয়ে চলছে অবাধে মৎস্য শিকার। অসংখ্যা বাঁধের কারণে পানির স্বাভাবিক  শ্রোত ধারাও ব্যহত হচ্ছে। ফলে নদী যেমন নাব্যতা হারাচ্ছে, একইসাথে মাছশুন্যও হয়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন এভাবে চলতে থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। মৎস্যপক্ষে অধিদপ্তরে কিছু রিপোর্ট পাঠানোর স্বার্থে কিছু অভিযান পরিচালনা করে থাকলেও সারা বছর আর কোন পদক্ষেপই নেওয়া হয় না। তবে বাঘারপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত আঁড় বাঁধ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদাসীনতার ফলে অবাধে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন অসাধু মৎস্য শিকারীরা। উপজেলা মৎস্য অফিসের ২’শ গজ দূরে চিত্রা নদীতে দেওয়া হয়েছে আঁড়বাঁধ। প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে আঁড়বাঁধ দিয়ে মৎস্য শিকার হচ্ছে, এনিয়ে নদী পাড়ের মানুষের প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব অসাধু মৎস্য শিকারীদের সাথে মৎস্য অফিসের কারো কারো সাথে রয়েছে গভীর সখ্যতা। খোদ মৎস্য কর্মকর্তার বাসায় এসব শিকারীরা মাছ নিয়ে যাওয়া আসা করেন। শুধু উপজেলা সদর নয়, চিত্রা নদীর বিভিন্ন এলাকায় এমন আঁড়বাঁধ দেয়া রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে আঁড়বাঁধ দিয়ে মৎস্য শিকার করা হলেও উপজেলা প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, উপজেলার খাজুরা থেকে সীমাখালি ব্রিজ, বিল জলেশ্বর থেকে ধলগ্রাম সুইসগেট পর্যন্ত চিত্রা নদীর বিভিন্ন স্থানে অসংখ্যা অবৈধভাবে আঁড়বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের মহোৎসব শুরু হয়েছে। নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে স্বাভাবিক শ্রোত বাধাগ্রস্ত করে মাছ শিকার আইনগতভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও চিত্রা নদীতে অবাধে চলছে মাছ শিকার। এছাড়া এসব বাঁধে বড় মাছের ছোট ছোট রেনু পোনা পর্যন্ত ধরা পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলা সদরের ব্রীজের নীচে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি মহল চিত্রা নদীতে অবৈধভাবে আঁড়বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছে। বাঘারপাড়া আওয়ামীলীগ অফিসের পাশে ব্রিজ থেকে পশ্চিম দিকে তাকালে কয়েকটি আড়ঁবাধেঁর দৃশ্য চোখে পড়বে। বাঁধ ছাড়াও নদীতে কারেন্ট জাল ও অবৈধ সরঞ্জাম দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। ফলে দিনদিন খাল, বিল ও নদী মাছশূন্য হয়ে পড়ছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাঘারপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস করেন না। যেদিন অফিসে আসেন, দেরিতে আসেন, আগে যান। এ চিত্র প্রতিদিনকের। স্থানীয়দের অভিযোগ, মৎস্য বিভাগের সঠিক তদারকি না থাকায় স্থানীয় কিছু মহল তাদের ইচ্ছামত আঁড়বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এমনকি উপজেলা সদরের মৎস্য অভয়াশ্রমটিও তদারকির অভাবে বিলুপ্তির পথে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ বালা জানিয়েছেন, নদীতে আড়ঁবাধঁ থাকার বিষয়টি আমার জানানেই। জানতে পারলে ব্যভস্থা নেওয়া হবে। নিয়মিত অফিসে না আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি সত্য না।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত