যশোর টাউনহল মাঠের অবৈধ সকল স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। এজন্যে প্রথমে দোকানিদের সাতদিনের সময় দেয়া হবে। তারপরেও যদি তারা কথা না শোনেন তাহলে বুলডোজার দিয়ে সকল অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হবে বলে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে যশোর ইনস্টিটিউট ও যশোর ক্লাবের উন্নয়ন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসাথে টাউনহল মাঠের স্বাধীনতা মঞ্চকে আধুনিকীকরণ ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে মাঠ বিস্তৃত করা হবে। এটি হলে যশোরবাসীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে টাউন হল মাঠ। সভায় জেলা পরিষদ ও যশোর ইনস্টিটিউটের মধ্যে জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ মীমাংসার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া,ঐতিহ্যবাহী যশোর ক্লাবের পুরাতন ভবন ভেঙে নতুন ভবন ও ক্লাব আঙিনারভুতুড়ে পরিবেশ দূর করে নান্দনিক করার বিষয়ে আলোচনা হয়। খুব শীঘ্রই যশোরের বিভিন্ন সড়কের পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনাও অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সভা থেকে। এ সময় যশোরের উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করা হয়। মুড়লি মোড় থেকে পালবাড়ির ভাস্কর্যের মোড় পর্যন্ত সড়কের কাজ দ্রুতই দৃশ্যমান করা হবে। শহরের অন্যতম প্রবেশদ্বার চাঁচড়া মোড়ে দু’ কোটি টাকা ব্যয়ে নান্দনিক গেট করা হবে। আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, যশোর হবে উন্নয়নের রোল মডেল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ শুরু হয়েছে। অনেক কাজ চলমান রয়েছে। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএএম রফিকুন্নবী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরজাহান ইসলাম নীরা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব কবীর, যশোর ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর কবু, বাস মালিক সমিতির সভাপতি আলী আকবর প্রমুখ।সভা শেষে সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরজাহান নীরা ও যশোর ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রতিমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
রাতদিন সংবাদ