Sunday, May 5, 2024

নীলফামারীর ম্যাজিস্ট্রেট স্ত্রীর যৌতুক মামলায় যশোর আদালতের কাঠগড়াই

- Advertisement -

জামিন নিয়েছেন নীলফামারীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় বুধবার যশোর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তিনি। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন তার জামিন মঞ্জুর করে মামলাটি সিনিয়র জুডিসিয়াল ১ম আদালতে বদলি করেন। একইসাথে আগামী ১৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছেন বিচারক। মাসুদ রানা পাবনার সাথীয়া উপজেলার আফতাবনগর গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। বর্তমানে নীলফামারী আদালতে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত।এর আাগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর যশোরের আদালতে স্ত্রী ফারজানা নাসরিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, রানা ২০১৯ সালের ২১ জুন শামসি নাহিদ অঞ্চা নামে এক নারীকে প্রথমে বিয়ে করেন। যৌতুক দাবিতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে মাত্র সাড়ে চার মাসের মাথায় অঞ্চাকে তালাক দেন মাসুদ রানা। এরপর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা নাসরিনের সাথে তার পরিচয় হয়। ফারজানা নাসরিন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের ইকরামুল হকের মেয়ে। মাসুদ রানা প্রথম বিয়ের কথা গোপন রাখেন নাসরিনের কাছে। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে ফারজানা নাসরিনের সাথে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে মাসুদ রানার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নাসরিনের পিতা পাঁচ লাখ টাকার মালামাল ও দু’ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার প্রদান করেন। কিছুদিন সংসার করার পর ঢাকার পূর্বাচলে প্লট কেনার জন্যে নাসরিনের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন মাসুদ রানা। নাসরিন পিতার বাড়ির লোকজনের সাথে আলোচনা করে পাঁচ লাখ টাকা দেন। বাকি পাঁচ লাখ টাকা দিতে না পারায় নাসরিনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন তার স্বামী। সর্বশেষ, গত ২৯ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে আসামি মাসুদকে ডেকে এনে যৌতুক ছাড়া বাদীকে নিয়ে সংসার করার অনুরোধ করেন স্ত্রী। কিন্তু তাতে রাজি হননি তিনি। এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর ফারজানা নাসরিন বাদী হয়ে যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন।এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর মাসুদ রানা, পাবনার সাথীয়া উপজেলার আফতাবনগর গ্রামের জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী রানি খাতুনসহ তিনজন যশোর শহরের পালবাড়ি মোড়ে ফারজানা নাসরিনের পিতার বাসায় আসেন। এসময় যৌতুকের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফারজানা নাসরিনকে মারপিট করে হত্যার চেষ্টা করেন মাসুদ রানা ও তার সহযোগীরা। ফারজানা নাসরিনকে আহত অবস্থায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ফারজানা নাসরিন বাদী হয়ে ২২ সেপ্টেম্বর যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আরও একটি মামলা করেন।

রায়হান উদ্দীন

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত