Sunday, May 5, 2024

যশোরে উত্তপ্ত নিত্যপণ্যের বাজার

- Advertisement -

যশোরে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে বটে, কিন্তু কিছুতেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। পেঁয়াজের ঝাঁজে যখন অস্থির ভোক্তারা, ঠিক তখই বেড়ে গেছে চাল, আলু, সবজি, ডাল, তেল, কাঁচামরিচ, আদাসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য।এতে করে বিশেষ করে স্বল্প ও সীমিত আয়ের মানুষেরা পড়েগছেন মহা বিপাকে। নুন আনতে পানতা ফুরানোর মত অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাদের জিবনে।

রোববার ও সোমবার যশোরের বড়বাজার, রেলবাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে কোনো ধরনের সবজিই প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। আর চাল? সরকারের পক্ষ থেকে মিল পর্যায়ে চালের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তা বস্তাপ্রতি ১শ’৫০ থেকে ২শ’ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে মোটা চালের দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫২ টাকা পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। আলুর ক্ষেত্রেও একই কথা।গত বছর এ সময় আলু কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হতো, সেই আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৬৫ টাকায়।এসব বিষয়ে কথা হয় অন্তত ১০জন ক্রেতার সাথে। তারা জানান অসাধু ও অনৈতিক যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিদপ্তর জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করছে।  যদি তা-ই হয়, তাহলে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ছে কেন? কেউ কেউ বলেন  তবে কি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নামকাওয়াস্তে তদারকি করছে?  অসাধু ব্যবসায়ী তথা সিন্ডিকেটগুলো অত্যন্ত প্রভাবশালী , তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার মতো সৎসাহস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই েএমন প্রশ্ন করেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে সচেতন মহলের দাবি পুরো বিষয়টি একটি দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়ে গেছে। এই চক্র ভাঙার জন্য যে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা দরকার, তা এখনো অনুপস্থিত। গা-ছাড়া তদারকিতে তাই কিছুই হচ্ছে না। তারা আরো বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে অবশ্যই। প্রকৃতপক্ষে স্বল্প ও সীমিত আয়ের নাগরিকদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। সবকিছুই যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে সরকারের অস্তিত্ব থাকে কোথায়? এটা কোনো কথা হতে পারে না যে, সরকার চালের দাম নির্ধারণ করে দেবে, অথচ সেই নির্ধারিত মূল্যে চাল বিক্রি হবে না! এটা স্পষ্ট হয়েছে, দেশের অসাধু ব্যবসায়ীদের ন্যূনতম দেশাত্মবোধ ও মানবিকতা বলতে কিছু নেই। অর্থলোভই এদের একমাত্র চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। মুখের কথা বা উপদেশে তাদের এই চরিত্র বদল হওয়ার নয়। তাই সরকারকে নিতে হবে কঠোর অবস্থান। মুক্তি দিতে হবে স্বল্প ও সীমিত আয়ের মানুষদের।এ বিষয়ে  ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, তারা নিয়মিত বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাচ্ছেন। জরিমানাও করছেন। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজার অস্থিশীল করতে নানা ধরণের পরিকল্পনা করছেন।কিন্তু তা রুখে দেয়ার জন্য তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বলে জানান মি.হাবিব।

বিশেষ প্রতিনিধি

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত