Thursday, May 2, 2024

স্বামীকে দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি স্ত্রীর

- Advertisement -

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ  ৫২ দিন মালয়েশিয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা রেমিট্যান্সযোদ্ধা সোহাগ হোসেন এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। স্বামীকে দেশে ফিরে আনতে আকুতি স্ত্রীর। সোহাগের স্ত্রী বলেন ‘আমার স্বামীকে ফিরিয়ে আনুন, নাহলে সদ্য জন্ম নেওয়া পুত্র সন্তানকে নিয়ে ভাসতে হবে আমাকে।’ স্বামীকে দেশে আনতে দেশবাসির কাছে আকুতি জানিয়েছেন স্ত্রী রুকাইয়া খাতুন।

সদ্য জন্ম নেওয়া পুত্র সন্তানের মূখের দিকে চেয়ে হলেও স্বামী সোহাগের সুস্থ্য হতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে বিত্তশালীদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্বামী শোকে কাতর এই স্ত্রী। সোহাগ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।

জানাযায়, রেমিট্যান্সযোদ্ধা সোহাগ হোসেনের ৫২ দিন লাইফ সাপোর্টে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা হাসপাতালের বিশাল অংকের চিকিৎসা ব্যয় প্রায় ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন পরিবার। একদিকে সোহাগের জীবন অপরদিকে চিকিৎসাবাবদ বিশাল ব্যয়ভার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পরিবার। যে কোম্পানির হয়ে সোহাগ কাজ করতেন সেই মালিকও খোঁজ নিচ্ছেন না অভিযোগ পরিবারের। বাধ্য হয়ে আত্মীয়-স্বজন ও দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন পরিবারটি। সোহাগ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় স্ত্রী রুকাইয়া খাতুনের কোলজুড়ে পৃথিবীতে এসেছে পুত্র সন্তান।

সোহাগের শ্বশুর ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার জানান, সোহাগ হোসেন গত ৩ এপ্রিল মালয়েশিয়ার পেনাং ব্রিজের উপর মোটরসাইকেল সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়। সেখান থেকে সোহাগকে উদ্ধার করে মালয়েশিয়ার জি, এইস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই অবধি ওই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছে সোহাগ। অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। তবে, বর্তমানে ডাকে সাড়া দিচ্ছে সোহাগ।

স্ত্রী রুকাইয়া খাতুন জানান, তার স্বামী নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তির পরই জীবন-জীবিকার তাগিয়ে মালয়েশিয়া পাড়ি জমান। গত ৫ বছর ধরে সোহাগ মালয়েশিয়ায় আছেন। এরমধ্যে একবার বাড়িতে এসে ফের মালয়েশিয়া যাবার পর এ দুর্ঘটার শিকার হন সোহাগ। যার কোম্পানিতে সোহাগ করতেন সেই ইউনুস গাজীকে আকুতি-মিনতি করার পরও খোঁজ নিচ্ছেন না। ইউনুচ গাজী তাদেরকে জানিয়েছেন হাসপাতালে গেলেই তাকে বিশাল অংকের টাকা বহন করতে হবে। নাহলে ইউনুস গাজীকে আটকিয়ে দিবে পুলিশ।

এ ব্যাপারে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারি ইউনুচ গাজী জানান, তার কোম্পানিতে কাজ করা অবস্থায় দুর্ঘটনা হয়নি। যা করতে হবে আদালতের মাধ্যমে সোহাগের পরিবারকে করতে হবে।

আর কে-২৮

 

 

 

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত