Sunday, May 5, 2024

যে কারণে খুন হয় পতেঙ্গালীর শিশু সানজিদা !

- Advertisement -

যশোরের পতেঙ্গালীতে সানজিদা জান্নাত মিষ্টি নামে চার বছরের এক শিশু হত্যাকান্ডের ঘটনায় বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর কাহিনী। যে আঞ্জুয়ারা ওই শিশুকে খুন করেছেন তিনি ও তার পরিবার শিশু এবং নারী পাচারের সাথে জড়িত বলে দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন। তাদের দাবি, শিশু সানজিদাকে পাচারের উদ্দেশ্যে আপেল খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের মধ্যে নিয়ে যান আঞ্জুয়ারা। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। রাতে পাশের দীঘিতে মরদেহ ফেলে দেয়ার পরিকল্পনা করে চালের ড্রামে লুকিয়ে রাখেন আঞ্জুয়ারা। এরপর নিহত সানজিদার পরিবারে সদস্যদের সাথে পুলিশে খবরও দিতে যান এই পাষন্ড। এলাকার লোকজন হত্যাকারী আঞ্জুয়ারার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আটক আঞ্জুয়ারা চিহ্নিত নারী ও শিশু পাচারকারী। জড়িত সুদে কারবারের সাথে। তার স্বামী বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের রেজাউল ওরফে রেজা এসব কাজের মূলহোতা। নারী ও শিশু পাচার করতে পতেঙ্গালী গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করেন আঞ্জুয়ারা। এই বাড়িতে তিনি সেখানে তার শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। মাঝে মাঝে স্বামী আসলেও প্রায় সময় অপরিচিত লোকদের আসা যাওয়া হয়। তার বাড়িতে রাতভর মাদকসেবন ও অনৈতিক কারবার চলে। এ বিষয়ে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিল সানজিদার পরিবার। শত্রুতা শুরু এটি নিয়ে। এছাড়া, সানজিদার এক চাচা আঞ্জুয়ারার কাছ থেকে সুদে টাকা নেন। ওই টাকার তিনগুণ দেয়া হলেও আরও টাকা দাবি করে আসছিলেন আঞ্জুয়ারা। এ নিয়ে দু’ পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। সাম্প্রতি আঞ্জুয়ারার ছেলে শিশু সানজিদাকে ধাক্কা মারে। বিষয়টি সানজিদার মা আঞ্জুয়ারার কাছে বলেন। এসব কারণে আঞ্জুয়ারা সানজিদার পরিবারকে প্রকাশ্যেই দেখে নেয়ার হুমকি দেন। তার কয়েকদিনের মাথায় এ কান্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রাসহ সানজিদার পরিবার। এছাড়া স্থানীয় মালেক ও তার স্ত্রীও এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত বলে দাবি করেন তারা।

এদিকে, রোববার আটক আঞ্জুয়ারা বেগমকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান,আঞ্জুয়ারাকে আটকের পর আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি হত্যা করার ঘটনা স্বীকার করেন। এরসাথে জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া, মালেক গাজী ও তার স্ত্রীর বিষয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা।

বিশেষ প্রতিনিধি

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত