Monday, May 20, 2024

একবছর ধরে মামলার নথির হদিস নেই , পেশকার ও পিয়নের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ

- Advertisement -

যশোরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি নথির হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা। একবছর দুইমাস আগে মামলাটি জেলা জজ আদালতে বদলি করা হলেও তা করা হয়নি। অভিযোগ করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার ও পিয়ন আসামিপক্ষের কাছথেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন কওে নথিটি নষ্ট করে ফেলেছে। এসব অভিযোগ এনে বাদীপক্ষ গত ২৪ এপ্রিল চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, আদালত কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী স্বপন ভদ্র।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর মণিরামপুর উপজেলার কাজিয়াড়া গ্রামের শাহাজউদ্দীন সরদার বালিধা গ্রামের গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের অভিযোগ এনে ২১ লাখ টাকার একটি মামলা করেন মণিরামপুরের আমলী আদালতে । যার নাম্বার সিআর-১০৫৫/২২। অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। পরবর্তিতে গত বছরের পহেলা মার্চ মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলীর আদেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিচারক। কিন্তু মামলার নথি আজও অব্দি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়নি। সেসময় মণিরামপুর আমলি আদালতের পেশকারের দায়িত্বে ছিলেন মোজাফ্ফর হোসেন। আর পিয়ন ছিলেন জাকির হোসেন। আদালতে মামলাটির নথি খুজে না পেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান নথি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে তাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তিতে খোজ খবর নিয়ে তারা আশঙ্কা করেন ওই পেশকার এবং পিয়ন অবৈধভাবে প্রবাহিত হয়ে মামলার নথিটি নষ্ট করে ফেলেছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় আসামী গোলাম রসুল এলাকায় প্রচার করে বেরাচ্ছেন তিনি মামলা থেকে খালাশ পেয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে আইনজীবী স্বপন ভদ্র বলেন, সাধারণত মামলা বদলী হলে এক আদালত থেকে আরেক আদালতে যেতে সময় লাগে সাতদিন। সেখানে একবছর দুইমাস হয়ে গেছে কিন্তু নথি যায়নি। এমনকি নথিটির কোনো হদিসই নেই। যা মোটেও কাম্য না। এতে করে বাদী পক্ষ তার প্রতি অনিহা দেখাচ্ছে । তারা আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। এ বিষয়ে আদালতের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে পেশকার মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আদেশের পর সে নথি প্রথমে তার কাছেই আসে। পরবর্তিতে তিনি লেখালেখির কাজ শেষ করে কম্পিউটারে পাঠায় দেন। এরপর সে নথি আর তার কাছে ফেরত আসে না। ফলে তিনি নথিটি কোথায় আছে তা বলতে পারেন না। তবে, তিনিও নথিটি খুজে পেতে চেষ্টা করছেন। এছাড়া অবৈধভাবে প্রভাবিত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

-রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত