Sunday, May 19, 2024

চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিবাহ ঠেকানোয় কিশোরীর আত্মহত্যা

- Advertisement -

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি- চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় ডুগডুগি গ্রামে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধের দুই দিন পর কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৪ মে) বিষপান করে অঞ্জনা খাতুন সুইটি (১৪) নামের ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে।

সুইটি দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগি গ্রামের আমির হোসেনের মেয়ে ও লোকনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। চার ভাই-বোনের মধ্যে অঞ্জনা ছিল সবার ছোট। আর ছেলে সৌমিক (১৭) মোটর গ্যারেজ কর্মচারী ।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২ মে) ডুগডুগি গ্রামে কিশোরীর বাবা আমির হোসেনের বাড়ি গিয়ে বাল্যবিবাহের আয়োজন বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আমির হোসেনের থেকে ৮ হাজার টাকা জরিমানাসহ কনের বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া যাবে না মর্মে মুচলিকা নেওয়া হয়।

এ ঘটনার দুই দিন পর শনিবার (৪ মে) কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে আবারো বিয়ের আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা কিশোরীর মেজো বোনের বাড়িতে প্রশাসনকে আড়াল করে আবার বিয়ের আয়োজন করা হয়। ওই দিন সকালে হঠাৎ করে ছেলে পক্ষকে বিয়ের আয়োজনের বিয়য়টি জানায় কিশোরীর পরিবার। ছেলের বাবা বাড়িতে না থাকায় তারা তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। এই বিষয়টি নিয়ে মোবাইলে ফোনে ছেলে-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই ওই কিশোরী বিষপান করে। দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

রোববার (৫ মে) সকালে সরজমিনে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোর-কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি দুজনের পরিবার জানাজানি হলে গত বৃহস্পতিবার পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক, এমন খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল কুমার দাশ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। কনের বাবাকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং একই সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত