এক নারীর ছবি এডিটের মাধ্যমে নগ্ন করে লাইকি অ্যাপের মাধ্যমে পোস্ট করার ঘটনায় তানজির হাসান মিশন নামে এক যুবককে আটক করেছে পিবিআই যশোরের সদস্যরা। তিনি বাঘারপাড়ার জয়পুরের মৃত ফসিয়ার রহমানের ছেলে। আটক মিশন সহঅজ্ঞাত আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ওই নারীকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মানহানী করায় এ ঘটনায় পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
আটক মিশন তার ব্যবহৃত মোবাইল থেকে এডিটের মাধ্যমে নগ্ন ছবি করে জসিম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর নাম্বারে পাঠায়। পিবিআই যশোরের এসআই ডি এম নুর জামাল হোসেন অনুসন্ধানে জানতে পারেন তানজির হাসান মিশন ওই নারীর আপন দেবর। মিশনের স্ত্রী গত ৫ বছর অনলাইনে লাইভ করে অর্থ উপার্জন করে আসছেন। তখন ওই ভুক্তভোগী নারী এই কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করলে, তার দেবর মিশন ভালো টাকা পয়সা আয় করার বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখান। এমতাবস্থায় ওই নারীকে একাউন্ট খুলে দেন মিশন। এবং নারীকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দেয়ার জন্য বলেন। ভিকটিম তাদের কথা মত অবিবাহিত হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই লাইকি আইডি থেকে লাইভ করতে থাকেন। ওই নারী তাদের কথা মত প্রায়ই লাইভ করতেন। এরমাঝে ওই নারী নিজে বিবাহিত ও তার একটি কন্যা সন্তান আছে এবং তার জাও বিবাহিত তা লাইকির বোর্ডে থাকা সকল মেম্বারের কাছে জানিয়ে দেয়। এরপর থেকে মিশন ওই নারীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি নারীর ( তার আপন ভাবি) ব্যক্তিগত ছবি এডিট করে নগ্ন ভাবে বোর্ড মেম্বরদের কাছে প্রচার করে। এমনকি আসামি মিশন তার ব্যবহৃত ফোন থেকে প্রবাসী জসিম উদ্দিন ছবি নগ্ন ভাবে এডিট করে পাঠান। তানজির হাসান মিশন ঘটনায় জড়িত প্রমাণিত হলে পিবিআই যশোরের এসআই ডি এম নুর জামাল হোসেন, এসআই হাসানুজ্জামান, এসআই গোলাম আলী ১৮ এপ্রিল বাড়ি থেকে মিশনকে আটক করেন।
এসআই ডি এম নুর জামাল হোসেন জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন, অভিযোগটি বাঘারপাড়া থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়েছে।
রাতদিন সংবাদ