এলজিইডি মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা ও ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় আলোচিত এক প্রতারককে আটক করেছে পিবিআই যশোরের একটি দল। আটককৃতের নাম সজীব হোসেন ওরফে কাজী মাহমুদ হাসান (২৫)। তিনি মণিরামপুরের বাসুদেবপুরের কাজী রেজাউল হকের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আদালতে চালান দিলে তিনি প্রতারনার ঘটনা সব স্বীকারও করেছেন।
পিবিআই জানায়, মণিরামপুরের পলাশীর আমির হোসেনের স্ত্রী হাসিনা বেগম প্রতারক সজীব হোসেনের বিরুদ্ধে পিবিআই অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগ তদন্তের জন্য এসআই মনিরুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পিবিআই অনুসন্ধানে জানতে পারে সজীব হোসেন একজন প্রতারক। হাসিনা বেগম ও সজীব হোসেন পাশাপাশি গ্রামে বসবাস করেন। সজীব নিজেকে এলজিইডি মন্ত্রনালয়ের সচিবের ঘনিষ্টজন এবং নিজে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকাতে অফিস সহকারী পদে কর্মরত বলে পরিচয় দেন। এমতাবস্থায় হাসিনা রবগমের ছেলেকে এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি অর্গানাইজার পদে চাকরি দিতে পারবে বলে জানায়। এ জন্য দেয়ার জন্য তাকে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান। হাসিনা বেগম তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে গত গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন সময় ৭ লাখ টাকা প্রদান করেন। ওই টাকা আসামি সজীব হোসেন ওরফে কাজী মাহমুদ হাসান প্রতারণামূলক আত্মসাত করেন মর্মে সত্যতা পান তদন্ত কর্মকর্তা। এঘটনায় ১৭ এপ্রিল রাতে সজীবের বসতবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার আরো অভিযোগ পাওয়া যায়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি সজীব ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন। এঘটনায় হাসিনা বেগম ১৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে মনিরামপুর থানায় মামলা রেকর্ড হয়। আদালতে চালান দিলে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অবন্তিকা রায়ের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
রাতদিন সংবাদ