Thursday, May 2, 2024

কেশবপুরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারেশগণের সংবাদ সম্মেলন

- Advertisement -

মোঃ জাকির হোসেন, কেশবপুরঃ কেশবপুরে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাসের ওয়ারেশগণ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগে ১৮এপ্রিল দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দৌলত বিশ্বাসের ভাইয়ের ছেলে উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের সিরাজুল ইসলাম রিপন বলেন, ১৯৪৪ সালে কেশবপুর মৌজার হাল ৬৪৫ ও ৬৪৬ দাগে ৩৫ শতক জমির মালিক তারা প্রসাদ ২০৩৪ নং রেজিঃকৃত পাট্টা দলিলমূলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দৌলত বিশ্বাসের পিতা ইব্রাহিম বিশ্বাসের কাছে হ হস্তান্তর সহ দখল বুঝে দেন। ইব্রাহিম বিশ্বাস উক্ত দলিলমূলে নালিশী ২৭১ নং দাগের ৩৫ শতক জমি ৩ছেলে গহর আলী, অহর আলী, বাকের আলী ও গহর আলীর ছেলে রেজাউল হককে ওয়ারেশ রেখে মারা যান। তৎকালিন তহশীলদার ইব্রাহিম বিশ্বাসের ওয়ারেশগণকে নালিশী জমি থেকে বেদখল করার ষড়যন্ত্র চালালে তারা কালেক্টরের কাছে আপত্তি দাখিল করেন। ১৯৫৯ সালের ১১ডিসেম্বর আদেশে নালিশী জমি অধিগ্রহণযোগ্য নয় মর্মে সিদ্ধান্ত দেয়। উপরোক্ত বাকের আলী রায় বর্ণিত ৩০ থেকে ৪০ নং বাদীপক্ষকে এবং রেজাউল হক ১৭ থেকে ২২ নং বাদীপক্ষকে ওয়ারেশ রেখে মারা যান। রায়ে বর্ণিত ১ থেকে ১৭ ও ৩৪ নং বাদীপক্ষ নালিশী জমিতে খরিদা ও ওয়ারেশ সূত্রে স্বত্ত¡বান ও দখলকার হয়ে বসতবাড়ি হিসেবে বসবাস ও দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য ও ভাড়া প্রদান করে আসতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর তফশীল জমি আরএস চুড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত হলে দেখা যায়, সরকারি এক নং খতিয়ানে উক্ত জমি রেকর্ড হয়েছে। এরপর ২০০২ সালে কেশবপুর পৌরসভার তৎকালিন মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়ায় আমাদের ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। এরপর আদালতে মামলা করা হয়। দীর্ঘদিন পর গত ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি সর্বশেষ যশোর সহকারি জজ আদালতের রায় ও ডিগ্রী মোতাবেক মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের ওয়ারিশগণই হাল- ৬৪৫, ৬৪৬ নং দাগের ৩৫ শতকের মধ্যে ১৮ শতক জমির প্রকৃত মালিক বলে বায় প্রদান করেন। এ নিয়ে আমরা দুটি রায় পেয়েছি। রায় পাবার পরই আমরা ওই নালিশী জমির নামপত্তন করার জন্যে সহকারী কমিশনার ভূমির কাছে আবেদন করেছি। বর্তমানে শহীদ পরিবারের ১৭ জন ওয়ারেশই ওই ১৮ শতক জমির প্রকৃত মালিক।
সিরাজুল ইসলাম রিপন আরও বলেন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়েও দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানেরা এ হয়রানিমূলক মামলার খরচ যোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যাতে ওই জমির দখল বুঝে পেতে পারি তার জন্য প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাসহ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দৌলত বিশ্বাসের পরিবারের ওয়ারেশগণ উপস্থিত ছিলেন।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত