Saturday, May 18, 2024

বাঘারপাড়ায় ভূমিহীন পরিবারকে ভিটেছাড়া

- Advertisement -

বাঘারপাড়া(যশোর): যশোরের বাঘারপাড়ায় চারটি ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। ঘটনাটি ঘটেছে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের ধুপখালি গ্রামে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রোববার আকস্মিক ওই ভূমিহীন পরিবারকে সহকারি যশোর জেলা জজ আদালতের প্রতিনিধি আইন শৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতিতে অসহায় ভূমিহীন পরিবারকে নির্মমভাবে উচ্ছেদ করে। ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকতার্ মামলার কাগজপত্র প্রদর্শন করলে কর্মকতার্কে গুরুত্ব না দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

সূত্রে জানায়, উপজেলার ৬৭ নং ধুপখালি মৌজার এসএ ও আরএস ০১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত এসএ ১৭৫৬ নং দাগে যার আরএস ২২৮৫ দাগে ৩৪ শতক খাস জমি দখলে নিতে ধুপখালি গ্রামের কাছেম মোল্যার স্ত্রী আছিরন বেগম ২০০৪ সালে সহকারি জজ আদালতে মামলা করেন। আছিরন বেগমের মৃত্যুর পর ছেলে অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য রবিউল ইসলাম মামলার বাদি হন। ২০২২ সালে উপজেলা প্রশাসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প আশ্রায়ণ-২ জন্য নিবার্চন পূর্বক ঘর নিমার্ণের উদ্যোগ নিলে বাদি একই বছর সহকারি জজ আদালতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দেওয়ানী মামলা করেন। একই জমিতে বাদির একাধিক মামলা থাকায় আপীল গ্রহনের উদ্যোগ নেন আদালত। পরে নালিশী জমিতে বাদীর অনুকুলে রায় আসে। কিন্তু খাস খতিয়ান হতে কর্তন পূর্বক বাদীর নামে রেকর্ড ও নামজারি কোন কাগজপত্র নেই। জমিতে বসবাসরত আব্বাস উদ্দিন ও রবিউল ইসলাম জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে সে এবং তার পরিবার ওই জমিতে বসবাস করছে। হাঁস মুরগি পালন ও পরের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নিবার্হ করে তারা। ভোগ দখলিয় ওই জমির ওপর কুনজর পড়ে স্থানীয় অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য রবিউল ইসলামের। একমাত্র অবলম্বন জমিটুকু দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।

মামলার বাদি অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, ২৪ সালের রেকর্ড অনুযায়ি আমার মায়ের দাদার নামে এ জমি। ৬২ সালে জমি খাস খতিয়ান হয়ে যায়। সেই সময় হতে আদালতে মামলা চলমান থাকায় বর্তমানে আমাদের পক্ষে রায় আসে। আমরা ইতোমধ্যে দুইটি ঘর তুলে দিয়েছি জমিতে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার হোসনে আরা তান্নি জানান, বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে নির্দেশনা আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত