Thursday, May 2, 2024

নওগাঁ-২ আসনে নৌকার প্রার্থীর জয়

- Advertisement -

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহীদুজ্জামান সরকার জয়লাভ করেছেন। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় ভোট শেষ হয়। রাতে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মওলা।

নৌকা প্রতীকে শহীদুজ্জামান সরকার পেয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজার ৯৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের ইঞ্জিনিয়ার আখতারুল আলম ৭৪ হাজার ৩৬৩, জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে তোফাজ্জল হোসেন চার হাজার ৯৪ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মেহেদী মাহমুদ রেজা পেয়েছেন এক হাজার ৪৭৯ ভোট।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, গত ৭ জানুয়ারির মতো এই নির্বাচন যথেষ্ট সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারণে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই সন্তোষজনক ছিল। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

পত্নীতলা ও ধামইরহাট উপজেলা নিয়ে নওগাঁ-২ আসন। ধামইরহাট উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৫৭ হাজার ১৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৩০১, নারী ৭৮ হাজার ৭১৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের একজন। নির্বাচনে ৫৩ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৩০৪ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৬০৮ জন। ৫৩টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ২৯১ এবং অস্থায়ী ১৩টি।

অপরদিকে পত্নীতলা উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৯৯ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৭১ এবং নারী ৯৯ হাজার ৮৪৬ জন। নির্বাচনে ৭১ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৮০৪ জন। ৭১টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ৪০২ এবং অস্থায়ী ২৮টি। ভোটগ্রহণের জন্য মোট ৮৩০ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলে। এর মধ্যে ১২৪ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৭০৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার এই দুই উপজেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছিল। কারণ গত ৭ জানুয়ারি সারা দেশের সঙ্গে পুরো জেলায় একসঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে তুলনায় মাত্র একটি আসনে নির্বাচন হওয়ায় নিরাপত্তা অনেকগুণ গ্রহণ করা সহজ হয়েছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে চার জন করে পুলিশ সদস্য রাখা হয়েছিল। প্রতিটি কেন্দ্রেই মোবাইল টিম নিয়োজিত ছিল। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। এই দুই উপজেলায় মোট আট প্লাটুন বিজিবি সদস্য নিয়োজিত ছিল। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় সংখ্যক আনসার সদস্যও নিয়োজিত ছিল। এক কথায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৩টিতে। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে ও ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য হয়েছেন। নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচনের ফলে আওয়ামী লীগের আরেকটি আসন বেড়েছে।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত