Thursday, May 16, 2024

৩০১ রানের লিড নিয়ে লাঞ্চ-বিরতিতে বাংলাদেশ

- Advertisement -

প্রথম টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪ ওভারে ৩০৮/৭ (নাঈম ৩*, মিরাজ ৩২*, সোহান ১০, মুশফিকুর ৬৭, দীপু ১৮, শান্ত ১০৫; জাকির ১৭, জয় ৮, মুমিনুল ৪০)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৮৫.১ ওভারে ৩১০ (জয় ৮৬, শান্ত ৩৭, মুমিনুল ৩৭, সোহান ২৯)

নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ১০১.৫ ওভারে ৩১৭ (এজাজ প্যাটেল ১*; ল্যাথাম ২১, কনওয়ে ১২, হেনরি নিকোলস ১৯, ড্যারিল মিচেল ৪১, টম ব্লান্ডেল ৬, গ্লেন ফিলিপস ৪২, কেন উইলিয়ামসন ১০৪, ইশ সোধি ০, কাইল জেমিসন ২৩, টিম সাউদি ৩৫)

প্রথম সেশনের শেষ বলে মেহেদী হাসান মিরাজ বাউন্ডারি মারলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ছাড়ালো তিনশ রানে। লাঞ্চের আগে বাংলাদেশ করেছে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান। মিরাজ ৩২ ও নাঈম ৩ রানে অপরাজিত আছেন।

এর আগে দিনের শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্ত বিদায় নেন। আর একটি রান যোগ করেন তিনি। তারপরই মুশফিকুর রহিম করেন হাফ সেঞ্চুরি। বিদায় নেন এলবিডব্লিউ হয়ে। শাহাদাত হোসেন দীপু সুবিধা করতে পারেননি। দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান। থার্ড আম্পায়ারের সৌজন্যে মিরাজও জীবন পান একবার, আরেকবার ফিল্ডারের হাত ফসকে বেঁচে যান।

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৯৬ রান করেছে বাংলাদেশ।

দুইবার পাওয়া জীবন কাজে লাগাতে পারলেন না সোহান

একবার রিভিউ নিয়ে, আরেকবার ফিল্ডারের হাত ফসকে জীবন পেলেন নুরুল হাসান সোহান।

৮৯তম ওভারে এজাজ প্যাটেলের বলে এলবিডব্লিউ হন বাংলাদেশি ব্যাটার। তখন তার রান ৮। দ্রুত রিভিউ নেন সোহান এবং আম্পায়ার আহসান রাজা সিদ্ধান্ত পাল্টান।

পরের ওভারে গ্লেন ফিলিপসের বল স্লিপে উড়ান সোহান। বাঁদিকে ঝাঁপান ড্যারিল মিচেল, কিন্তু বল ধরতে পারেননি। তখন সোহানের রান ৯। দুইবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ফিলিপসের পরের ওভারে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন। ২৭ বলে সোহান করেন ১০ রান।

মিরাজের দ্বিতীয় জীবন পাওয়ার পর আউট মুশফিক

এজাজ প্যাটেলের বলে দ্বিতীয়বার জীবন পান মেহেদী হাসান মিরাজ। টম ব্লান্ডেল ক্যাচ ছেড়ে দেন, স্লিপে দাঁড়ানো ড্যারিল মিচেলও বল লুফে নিতে পারেননি।

পরের বলেই নিউজিল্যান্ড পায় ষষ্ঠ উইকেট। মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। বাংলাদেশি ব্যাটার রিভিউ নিয়েও টিকতে পারেননি। নষ্ট হয় রিভিউ। ১১৬ বলে ৭ চারে ৬৭ রান করেন মুশফিক।

জীবন পেলেন মিরাজ

১৩ রানে জীবন পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এজাজ প্যাটেলের বলে মিড অফে ক্যাচ দেন বাংলাদেশি ব্যাটার। হেনরি নিকলস সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নেন। তবে থার্ড আম্পায়ার রড টাকার রিপ্লে দেখেন। এক পাশ থেকে বল নিকলসের আঙুলের উপর দেখা গেলেও আরেক পাশ থেকে বল মাটিতে স্পর্শ করেছিল। বেঁচে যান মিরাজ।

অভিষেকে হতাশ করলেন দীপু

হতাশ করলেন শাহাদাত হোসেন দীপু। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে নিজেকে চেনাতে পারলেন না বাংলাদেশি ব্যাটার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ২৪ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হওয়ার পর ক্রিজে নেমে চার মেরে রানের খাতা খোলেন তিনি। পরে এজাজ প্যাটেলের এক ওভারে তিন বলের মধ্যে দুটি বাউন্ডারি মারেন। প্রথম ১২ বলে ১২ রানের সবগুলোই বাউন্ডারি থেকে।কিউই স্পিনারকে আরও একটি চার মারেন দীপু। তবে আরেক স্পিনার ইশ সোধিকে সামলাতে পারলেন না। এলবিডব্লিউ হন ১৯ বলে ১৮ রান করে।

জীবন পেয়ে মুশফিকের হাফ সেঞ্চুরি

৭১তম ওভারের দ্বিতীয় বল মুশফিকুর রহিমের ব্যাট ছুঁয়ে গেলো পেছনে। টম ব্লান্ডেল ধরতে পারলেন না। বল চলে গেলো সীমানার বাইরে। ৪৪ রানে বড় বাঁচা বেঁচে গেলেন মুশফিক। পরের ওভারের প্রথম বলে দুটি রান নিয়ে উদযাপন করলেন হাফ সেঞ্চুরি। ৭৯ বলে ৬ চারে ফিফটি করেন তিনি।

এক রান যোগ করে প্যাভিলিয়নে শান্ত

১০৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের ব্যাটে আরও রান প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু এক রানের বেশি যোগ করতে পারলেন না। চতুর্থ দিনের খেলায় অষ্টম বলে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তিনি। টিম সাউদির বলে টম ব্লান্ডেলকে ক্যাচ দেন শান্ত। ১৯৮ বলে ১০৫ রানে তাকে থামতে হলো।

লিড বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ক্রিজে শান্ত-মুশফিক

চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলে অপরাজিত নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে অধিনায়কের ব্যাটে চালকের আসনে বাংলাদেশ। সাত উইকেট হাতে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ২০৫ রান।

এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে থাকার কথা। কিন্তু সিলেটের রহস্যময় উইকেটে কিছুটা দুশ্চিন্তায় টিম বাংলাদেশ। কেন না বাংলাদেশ দল বুঝতে পারছে না, এখানে আসলে কত রান নিরাপদ।

ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মুমিনুল হক। দলের লক্ষ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলন তেমন কিছু বললেন না সাবেক টেস্ট অধিনায়ক, ‘এটা (টার্গেট কত দিলে নিরাপদ) বলাটা খুব কঠিন। আমার কাছে এখনও মনে হচ্ছে উইকেট ভালো। কত রান নিরাপদ এটা বলা অনেক কঠিন। ৪০০-ও হতে পারে, ৩৫০-ও হতে পারে। কালকের (শুক্রবার) খেলার ওপর নির্ভর করে। কাল চতুর্থ দিন, অন্যরকম আচরণ করতে পারে (উইকেট)। চারশ হলে ঠিক আছে…।

ডেস্ক রিপোর্ট/জয়-০৩

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত