আনসার বাহিনী বাংলাদেশের একমাত্র সু-শৃঙ্খল বাহিনী যারা সব ডিপার্টমেন্টে কাজ করে। এই বাহিনী একদিকে যেমন সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অবদান রাখছে, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এজন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে আনসার বাহিনীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
এই কথা বলেছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী খুলনা রেঞ্জের উপ-মহাপরিচালক শাহ্ আহমদ ফজলে রাব্বী।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা জেলা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষণ মাঠে আনসার ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সমাবেশে সাতক্ষীরা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিঞ্চুপদ পালের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা কমান্ড্যান্ট মোরশেদা খানম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান, ৩০ আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এনামুল খাঁন, সাতক্ষীরা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন অফিসার আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৪৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে আনসার বাহিনী। ১৯৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ইতিহাসের প্রতিটি বাকেই আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর অবদান দেশের ইতিহাসকে মহিমান্বিত করেছিল। বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে আনসার বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে ছিল। এ বাহিনীর ৬৭০জন সদস্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আনসার বাহিনী মুক্তিকামী জনগণের মধ্যে ৪০ হাজার অস্ত্র বিতরণ করেন। যেটা ওই সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করতে অনেকাংশে ভূমিকা রাখে।
বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থেকে আনসার বাহিনীর সুনাম এবং ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করার জন্য উপস্থিত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩২ জন ভিডিপি সদস্যকে বাইসাইকেলসহ সহস্রাধিক ভিডিপি সদস্যদের মাঝে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।