Wednesday, May 15, 2024

কেশবপুরে ৯৮টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গা পূজা, চলছে শেষ মুহুতের প্রস্তুুতি

- Advertisement -

মোঃ জাকির হোসেন,কেশবপুরঃ বাঙালি সনাতন ধর্মবিশ্বাসীদের সবচেয়ে সার্বজনীন ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। শরৎ শুভ্রতায় চারিদিকে শুধু সাজ সাজ রবে উৎসবের আমেজ। শরতের নীল-সাদা আকাশ, ভোরের আবছা কুয়াশা, শোভা পাচ্ছে কাঁশ ফুল আর বাতাসে শেফালি ফুলের ঘ্রাণ প্রকৃতির এ শোভনীয় রূপের মোহ-নীয় মুহূর্তে জানান দিচ্ছে অশুভ নাশিনী আনন্দময়ী দেবী দূর্গার আগমনি বার্তা। আগামী ১৪ অক্টোবর শুক্লা পক্ষের অম দিয়ে ঢাক-ঢোল আর কাসার বাদ্যে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠান। আগমনকে ঘিরে তাই ব্যস্ত প্রতিমা কারিগরেরা। প্রতিমা তৈরি দেখতে মন্দির আসছে অনেকেই মন্ডপেও শাস্ত্রমতে, এবছর দেবীর আগমন ঘটবে ঘোড়ায়, এবং কৈলাসে ফিরে যাবেনও ঘোড়কে। দেবীর ঘোড়ায় যাতায়াতের ফলে সবকিছু ছত্রভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। নানা গোলমাল, দাঙ্গাহাঙ্গামা, ঝামেলা-ঝঞ্ঝাট দ্বারা বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা ঘটে থাকে। ঘোড়া ছটফটে প্রাণী। তাই সে যখন যায়, সব কিছু ছত্রভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে ফসল নষ্ট হওয়ার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা ও খরা দেখা দিতে পারে। মহামারী ও রাজনৈতিক অস্থিরতাও হতে পারে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে নানা ধর্মীয় মাঙ্গলিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগামী ১৪অক্টোবর মহালায়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের শুরু। এরপর ১৯অক্টোবর মহাপঞ্চমী, ২০অক্টোবর সকালে ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস, ওই দিন বিকেলে পূজারম্ভ। ২১অক্টোবর সকালে মহাসপ্তমী, ২২অক্টোবর সকালে মহা অষ্টমী, ২৩অক্টোবর সকালে মহানবমী পূজা কল্পারম্ভ এবং ২৪ অক্টোবর সকালে মহাদশমী পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন। দুর্গাপুজোকে ঘিরে চলছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা। এ বছর কেশবপুর উপজেলার পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে ৯৮টি পূজা মন্দির ও মন্ডপে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেশবপুর উপজেলা শাখার যুগ্নসাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় জানান, কেশবপুর উপজেলার ৯৮টি স্থানে দুর্গাপুজো হবে। পৌরসভায় ৯টি ও ইউনিয়ন কেশবপুর সদর ৭টি, ত্রিমোহনী ১টি, সাগরদাড়িঁ ১৩টি, মজিদপুর ৬টি, বিদ্যানন্দকাটি ৬টি, মঙ্গলকোট ৪টি, পাঁজিয়া ৯টি, সুফলাকাটি ১১টি, গৌরিঘোনা ১১টি, সাতবাড়িয়া ১১টি, হাসানপুর ১০টি। প্রতিমা শিল্পীদের সাথে কথা বলে জানা জায় ৩/৪ দিনের মধ্যে প্রায় সব কয়টি পূজা মন্দিও ও মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হবে। মহালয়ার দিন হবে রং ১ তুলির আঁচড়ে প্রতিমার চোখ আঁকা। কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান বলেন, প্রতিটি পূজা মন্দিও ও মন্ডপে নিরাপত্তার জন্য থাকছে আনসার, গ্রাম পুলিশ, পুলিশ এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। তবে ফেইসবুকে যে কোন স্টাটাস দেখে বিচলিত না হওয়ার জন্য সতর্ক করেন তিনি।

রাতদিন ডেস্ক/জয়-১৫

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত