নড়াইল প্রতিনিধি:যোগদানের দুই বছরের মধ্যে কলেজের সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর এম আব্দুর রহিম। নিয়মিত ক্লাস নিশ্চিত করন, শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজ ইউনিফর্ম, কো-কারিকুলামের প্রতি নজর দেয়া, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক – এরকম বিভিন্ন কর্মসূচির বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ভালো করছে। ইতিমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান মেলায় পুরস্কার, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খেলাধুলা প্রতিযোগিতায় পুরস্কার অর্জন করেছে। এসবের ফল হিসেবে অধ্যক্ষ আ: রহিম উপজেলা পর্যায়ে এ বছরের সেরা অধ্যক্ষের পদক অর্জন করেছেন। কলেজ সুত্রে জানাগেছে, ১৯৬৮ সালে এলাকার কিছু গুনী মানুষের চেষ্টায় প্রায় ১৫ একর জমির উপর এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে এসএসএফ এর তৎকালীন ডিজি মেজর জেনারেল আমান হাসানের প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলেজটিকে সরকারিকরন করেন। নড়াইল জেলার ২য় বৃহত্তম কলেজ হিসাবে এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচিত। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে একটি ছয় তলা ভবনসহ মোট ৮টি ভবন রয়েছে। ৪টি অনার্স বিভাগসহ প্রায় ৪ হাজার ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। রোভার স্কাউটের ছাত্রী রোকেয়া প্রাচী জানান,বর্তমান অধ্যক্ষ স্যার কলেজে স্কাউট গার্লস ইন রোভার খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সাংস্কৃতিক উপকমিটি গঠন করে সপ্তাহে একদিন সাংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যে সকল বাথরুম ব্যবহার অনুপযোগী ছিল সেগুলো সংস্কার করে দিয়েছেন। সেজন্য আমাদের সকল ছাত্রছাত্রীদের অনেক সুবিধা হয়েছে। এবং কলেজের মান বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএনসিসির ছাত্র মোঃ মাহমুদুর রহমান জানান, বর্তমান অধ্যক্ষ স্যারের আন্তরিক চেষ্টায় আমাদের কলেজে বিএনসিসি খোলা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট খোলা হয়েছে এবং উপজেলা জেলাতে ছাত্রছাত্রীরা ভালো করেছে। জেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে সারা বাংলাদেশে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। এসব ক্ষেত্রে আমরা সবসময় অধ্যক্ষ স্যারের সহযোগিতা পেয়ে থাকি। লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও দর্শন বিভাগের শিক্ষক গাজী শহিদুল হাসান জানান, ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর তারিখে বর্তমান অধ্যক্ষ যোগদানের পর ছাত্র কমন রুম, ছাত্রী কমন রুম, ছাত্র সংসদ এবং অডিটোরিয়াম সংস্কার কাজে হাত দেন। এতে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করা নিশ্চিত হয়েছে। লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বাধন কুমার ঘোষ জানান, অধ্যক্ষ স্যার কলেজের ক্লাস রুমগুলো আধুনিকীকরন করেন। ফলে শিক্ষকদের জন্য ক্লাস নেয়া স্বস্তিদায়ক হয়। প্রাচীর ও গেট বন্ধ করে দেয়ায় কলেজের অভ্যন্তর দিয়ে সাধারণ মানুষজনের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। যা ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে। সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মোর্ত্তুজার সাথে যোগাযোগ করে কলেজের একটি বড় খেলার মাঠ ভরাট করেন। এই মাঠটি দীর্ঘ ১০ বছর পানির নিচে ছিল। সেটি সংস্কার করে খেলার উপযোগী করেছেন। সার্বিক বিষয়ে অধ্যক্ষ এম আ: রহিম বলেন, ৩৫ জনের যোগ্য শিক্ষক মন্ডলী কলেজের প্রান। আমরা শিক্ষা ও কো-কারিকুলামের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলছি। যাতে সে জীবনের সব যায়গাতে ভালো করতে পারে। এজন্য নতুন করে বিএনসিসি, রেডক্রিসেন্ট ও রোভার স্কাউটস শুরু করেছি। আন্ত:বিভাগ ফুটবল ও অন্যান্য প্রতিযোগিতা নিয়মিত হচ্ছে। কলেজটি তাড়াতাড়ি হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে আশা করেন তিনি।